ফুলকুঁড়ি আসরের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা
রাবি প্রতিনিধি:
ফুলকুঁড়ি আসর রংধনু (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়) শাখার উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ফুলকুঁড়ি আসরের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব।
শনিবার (২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবনের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের গ্যালারিতে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
‘পৃথিবীকে গড়তে হলে সবার আগে নিজকে গড়ো’ স্লোগানকে ধারণ করে জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন ‘ফুলকুঁড়ি আসর’ ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে শনিবার সকাল ৯টায় শিশু-কিশোর-অভিভাবক সমাবেশ ও পুরস্কার বিতরণীর আয়োজন করে ফুলকুড়ি আসর রংধনু শাখা।
ফুলকুঁড়ি আসর রংধনু শাখার উপদেষ্টা সভাপতি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত) মো. মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে, শাখা পরিচালক আবুসিনা ইসলামের ব্যবস্থাপনায় ও সোহায়েল আহমেদ স্বাক্ষরের উপস্থাপনায় সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব, প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিশু-কল্যাণ পরিষদের কাউন্সিলর, ফুলকুঁড়ি আসরের প্রধান পরিচালক সাইফুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. সালেহ হাসান নকীব বলেন, ৫০ বছর ধরে যে সংগঠনটি শিশুদের নিয়ে কাজ করছে অবশ্যই তাদের অনেক চড়াই উৎরাই পেড়িয়ে এতদূর আসতে হয়েছে। আমার মনে হয় না এরকম আর কোনো সংগঠন বাংলাদেশে আছে যারা শিশু-কিশোরদের নিয়ে এভাবে কাজ করে। ডেডিকেশন আছে বলে এ সংগঠনের সদস্য সংখ্যা লাখের উপরে। আমি যদি তোমাদের মতো সংগঠনে ছোটো বেলায় যুক্ত হতে পারতাম। তাহলে স্বাভাবিকভাবে আমার মায়ের কষ্ট কম হতো। কারণ আমি ছোটো বেলায় খুব দুষ্টুমি করতাম।
দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত আমাদের জ্ঞানার্জন অর্জন করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নিজেকে গড়া লক্ষ্য শুধু ভালোভাবে নিজের পড়ালেখা নয়, নিজেকে গড়ার জন্য তোমাদের নৈতিকতার বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। দেশে কয়েক কোটি শিশু আছে, তারাও যদি এ সংগঠনে আসে তাহলে সবার জন্য ভালো হবে এবং একই সাথে তাদের এ সাফল্য আমাদের দেশ ও বিশ্বে অনেক বড় অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম। জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন মজুমদার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক মো. আব্দুর রাজ্জাক সরকার।
উল্লেখ্য, ফুলকুঁড়ি আসর একটি জাতীয় শিশুকিশোর সংগঠন, যেটি ১৯৭৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশব্যাপী শিশুকিশোরদের মেধা বিকাশে কাজ করে। শিশুকিশোরদের নির্মল চরিত্র, সুন্দর মন আর সুস্থ দেহের অধিকারী সুনাগরিক এবং আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ফুলকুঁড়ি আসর পাঁচটি বিভাগের অধীনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।