কালারমারছড়া সাধারণ ছাত্র ঐক্য পরিষদ এর উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের সংর্বধনা ও ক্যারিয়ার সেমিনার অনুষ্ঠিত
মিজবাহ উদ্দীন আরজু, কক্সবাজারঃ
বর্তমান শিক্ষার মান অত্যন্ত নিম্ন,শিক্ষার মান বাড়াতে শিক্ষক,অভিভাবক ছাত্রদের সচেতন হতে হবে কী করে শিক্ষার মান বাড়ানো যায়। আমাদের ছেলেমেয়েরা সুবিধা করতে পারতেছে না। বিশাল একটা শিক্ষিত জনগোষ্ঠী কিন্তু আমরা দাড়াতে পারতেছি না।১ লাখ পরিক্ষা দিলে ১-২ হাজার পাশ করলে এটাকে সফলতা বলা যায় না। যা অত্যান্ত নিম্ন মানের লেখাপড়া চলতেছে। তাই বলে আজ যারা জিপিএ ৫ পেয়ে সংবর্ধনা নিয়েছেন তাদের হতাশ হলে চলবে না। যারা সিলেবাসের পাশাপাশি পারসোনাল লেখাপড়া করে মননশীল শিক্ষা অর্জন করে সফলতা অর্জন করতে পারে। ‘ কালারমার ছড়া সাধারণ ছাত্র ঐক্য পরিষদ’ এর উদ্যোগে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংর্বধনা ও ক্যারিয়ার সেমিনার অনুষ্টানে প্রধান অতিথি বক্তব্য এসব বলেন মহেশখালীর কৃতি সন্তান গবেষক,ইতিহাসবিদ লেখক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মুহিবুল্লাহ সিদ্দিকী।
১ অক্টোবর (শুক্রবার) বিকাল ৩টায় মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ঝাপুয়া আল ঈমান মহিলা আলিম মাদ্রাসার হল কক্ষে কালারমারছড়া সাধারণ ছাত্র ঐক্য পরিষদের সদস্য আরিফুল ইসলাম বিজয়ের সঞ্চালনায় ও সাইদ হোসানের কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে এসংর্বধনা ও ক্যারিয়ার সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে মহেশখালীর বাসিন্দা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের ১২০ জন জিপিএ ৫ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট ও প্রাইজমানিসহ উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
উক্ত অনুষ্টানে প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন- মহেশখালীর কৃতি সন্তান পরিকল্পনা মন্ত্রানালয়ের উপসচিব মোঃ আবুল হাসেম। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য বলেন- আমার মা স্বপ্ন দেখেছিলেন আমি ম্যাজিস্ট্রেট হবো এবং আমার মার দেখা স্বপ্ন আমিও দেখেছি। সেই স্বপ্নের লক্ষ্য পূরণের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি৷ পরিশেষে আমি ম্যাজিস্ট্রেট হয়েছি। শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দেখতে হবে এবং স্বপ্নের কোন বিকল্প নেই বলে জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বলেন- শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য মহেশখালীর গুনি মানুষদের উপস্থিত করেছি-যাতে তাদের দেখে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যৎ তাদের ক্যারিয়ারের পরিকল্পনা করে মহেশখালীর মান উজ্জ্বল করতে পারে।
এছাড়াও সংর্বধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক জিয়াউল করিম জিয়া, মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীকি মারমা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) দিপক ত্রিপুরা চাকমা, মাওলানা আমিনুল হক, মাওলানা সাইফুল্লাহ মাদানী।
এছাড়াও উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন ত্বকি ওসমান ত্বকী,শাহবাজ খান,জিসান,রাশেদ হোসাইন সোহরাব,মুহাম্মদ মুহসিন,রেজাউলসহ আরও অনেকেই।