গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধা সদর উপজেলার ফলিয়া গ্রামে গত ১১ ডিসেম্বর জহুরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।কিন্তু মৃত্যু কয়েক দিন পর তার স্ত্রী থানা অভিযোগ দায়ের করেন তার স্বামীকে অমানবিক নির্যাতন করার কারণে লজ্জায় আত্মহত্যা করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ১১ ডিসেম্বর জহুরুল ইসলামের ভাতিজা ছেলে বায়েজিদ টাকা চুরি করলে হাতেনাতে ধরে ভাতিজা সুমন এর কাছে নিয়ে যান বিচার চাইতে, কিন্তু বিচার না করে তার ভাতিজা ও ভাতিজা বউ উল্টে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর ও নানা ধরনের গালিগালাজ করতে থাকে।ভাতিজা নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে নিজ ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন জহুরুল ইসলাম।
এরপর তার স্ত্রী তনুজা আফরিন তমা স্বামী মৃত্যু সাথে জড়িত কয়েকজনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।আসামীরা হলেন মো সুমন মিয়া পিতা জায়েদ আলী,মোছা বিপাশা বেগম স্বামী সুমন মিয়া সহ অজ্ঞাত কয়েকজন।যদিও ঘটনার দিনের প্রধান আসামি সুমন কে গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশ।
নিহতের স্ত্রী তনুজা আফরিন তমা বলেন,আমার অভাবের সংসার এর কারণে গার্মেন্টস এর চাকুরী করতে ঢাকায় আসি।কিন্তু ঢাকা আসার কয়েক দিন পরে শুনতে পারি আমার স্বামীকে সুমন ও তার স্ত্রী মারধর করে।সেই লজ্জা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন। যদি তারা আমার স্বামীকে মারধর না করতো তাহলে আমার স্বামী আত্মহত্যা করতো না।এজন্য আমার স্বামীর হত্যার বিচার চাই।