1. admin@dainiksangbadpatradigital.com : admin : HM Faruk
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিঃ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচারঃ তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।  বিশেষ সতর্কীকরণ - "দৈনিক সংবাদপত্র ডিজিটাল " পত্রিকায় প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। ★★দৈনিক সংবাদপত্র ডিজিটাল অনলাইন পত্রিকায় তরুণ ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানী আগ্রহী সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে...★ শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম সম্মান /স্নাতক পাস। এক বছরের অভিজ্ঞতা বাধ্যতামূলক। অভিজ্ঞদের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল যোগ্য। বেতন / ভাতা আলোচনা সাপেক্ষ্য। ★★ সিভি ইমেইল করতে টার্চ করুন
শিরোনামঃ
কলকাতা থেকে দেড়শো কিলোমিটার দূরে, শ্রী শ্রী রাধা মাধব মন্দিরে মানত শোধ করলেন – বাহাদুর পরিবার। তানোরে ভেঁকু দালালদের দৌরাত্ম্য জনজীবন অতিষ্ঠ   রাজশাহীর মোহনপুর বিএনপির সম্মেলন সভাপতি মুন,সম্পাদক মাহাবুর যশোরের অভয়নগর উপজেলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদে কমিটি গঠিত আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে রাবি অধ্যাপককে সাময়িক অব্যাহতি সিরাজগঞ্জে আর্মি ক্যাম্পে ভুয়া ডিজিএফআই সদস্য পরিচয়ে তদবির করতে এসে সেনা সদস্যদের কাছে আটক শেখ হাসিনা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে জনগণের উপর প্রতিশোধ নিতে দেশকে শ্মশানে পরিণত করে গেছে-হাসান মাহমুদ টুকু ভাঙ্গায় অজ্ঞাত মামলা ডাকাতি মূল রহস্য উদঘাটন সহ ৭ ডাকাত আটক ৪টি পিকআপ উদ্ধার কালিয়াকৈরে চাঁদাবাজির দ্বন্দ্বে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত -১ জন নগরকান্দা বিট কমিউনিটি পুলিশিং আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত !

টপ প্রতিটি পাতা বিজ্ঞাপন

তানোরে দুটি পৌরসভা ও এক ইউপিতে নাগরিক সেবা ব্যহত

দৈনিক সংবাদপত্র ডিজিটাল ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১২ ৯বার পঠিত

আলিফ হোসেন, তানোরঃ
রাজশাহীর তানোর ও মুন্ডুমালা পৌরসভা এবং চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নে (ইউপি) ওয়ারিশন সনদ, ট্রেড লাইসেন্স পেতে ভোগান্তিসহ নাগরিক সেবা ব্যহত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তানোর পৌরসভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং মুন্ডুমালা পৌরসভা ও চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নে(ইউপি) উপজেলা সহকারী কমিশনারকে(ভুমি) প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর  স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসকের আদেশ বলে জনপ্রতিনিধিদের সরিয়ে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়। উপজেলা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দুই কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রয়োজনীয় সময় দিতে পারছেন না। এতে ওয়ারিশন সনদ ও ট্র্রেড লাইসেন্সসহ জরুরি কাজে চরম হয়রানি ও ভোগান্তিতে পড়েছেন নাগরিকগণ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আত্মগোপনে রয়েছেন  চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়ন (ইউপি) আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান। তবে, তানোর পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি  ইমরুল হক এবং মুন্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর মেয়র সাইদুর রহমান সরকার পতনের পর যথারীতি  নিয়মিত অফিস করেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়। এসব মামলায় বিজ্ঞ আদালত হতে জামিনে রয়েছেন তারা। কিন্তু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এসব জনপ্রতিনিধিদের সরিয়ে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এদিকে অধিকাংশ  ইউপি চেয়ারম্যানগণ নিয়মিত পরিষদে না বসলেও খুব জরুরি প্রয়োজনে হঠাৎ দপ্তরে বা কোনো নিরাপদ স্থানে গিয়ে বিল, ভাউচার, বেতন ইত্যাদি কাগজপত্রে দস্তখত করছেন। পুরো উপজেলায় সাতটি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা রয়েছে। এরমধ্যে দুই পৌরসভা ও  এক ইউনিয়নে (ইউপি) প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট এলাকার নাগরিকগণের অভিযোগ, সরকার নির্বাচিত মেয়র ও চেয়ারম্যানদের সরিয়ে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ায় দাপ্তরিক কাজে কার্যত স্থবিরতা চলছে। এতে জন্মসনদ, মৃত্যুনিবন্ধন, নাগরিক সনদ ও ট্রেড লাইসেন্সসহ নানা জরুরি কাজে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এসব এলাকার নাগরিকগণদের। তারা বলেন, তানোর পৌর প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাঝে মধ্যে পৌর কার্যালয়ে বসেন। কিন্তু মুন্ডুমালা পৌরসভা ও চাঁন্দুড়িয়া ইউপির প্রশাসক উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) পৌরসভা ও ইউপি কার্যালয়ে তেমন বসেন না। মাঝে মধ্যে তিনি পৌর কার্যালয়ে  বসলেও ইউপি কার্যালয়ে  কোনদিন বসেননি বললেও ভুল হবে না। সংশ্লিষ্ট পৌর সচিব ও ইউপি সচিব ছাড়াও অন্যান্য কমকর্তারা উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে প্রশাসকের স্বাক্ষর নিয়ে আসেন। এতে নাগরিকরা চরম হয়রানি ও ভোগান্তিতে পড়েছেন।

উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া ইউপির বেড়লপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রোকসানা বিবি জানান,তার স্বামী আব্দুস সালাম সহজ সরল কৃষক মানুষ। ১৯৮৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী ৪৩২৪ নম্বর দলিল ও ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর ৪২৫৪ নম্বর দলিল মূলে আনিসুর রহমান ও মহসিন দিগরের কাছ থেকে বিভিন্ন দাগে জমি ক্রয় করেন। বর্তমানে জমিটি খারিজ করার জন্য ওয়ারিশ সনদ উত্তোলন বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদে যান। কিন্তু পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুরকে বরখাস্ত করায় ইউনিয়নের প্রশাসকের দায়িত্বে রয়েছেন এসিল্যান্ড। একারণে পাচ্ছেন না ওয়ারিশন সনদ। তিনি আরও জানান, জমি বিক্রি করার পর দলিলের দাতা এবং তার ওয়ারিশরাও মারা গেছে। আবার কেউ জীবিত আছে। যারা মারা গেছে, তাদের মৃত্যু সনদ প্রয়োজন। এমন প্রেক্ষিতে স্থানীয় মেম্বারের লিখিত সুপারিশ নিয়ে ওয়ারিশন সনদ নিতে গেলে মৃত ব্যক্তির এনআইডি ও মৃত্যু সনদ দাবি করেন ইউপি প্রশাসক এসিল্যান্ড মাশতুরা আমিনা। পরে ওয়ারিশদের এনআইডির ফটোকপি সংগ্রহে গেলে কেউ এনআইডি দিয়েছেন। আবার কেউ দিচ্ছেন না। বিষয়টি নিয়ে ইউপি প্রশাসককে অবহিত করা হলে মৃত ব্যক্তির এনআইডি ছাড়া ওয়ারিশন দেয়া সম্ভব নয় বলে জানাই ইউপি প্রশাসক। জমি ক্রয়ের ৪০ বছর পর খারিজ করতে যদি এভাবে হয়রানি হতে হয় তাহলে কার কাছে যাবো।

সচেতন মহলের অভিমত, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের ফরমে ওয়ারিশ বা নাগরিকদের নাম পরিচয় ও দলিল দিয়ে যদি আবেদন করা হয়ে থাকে। ওই নাম পরিচয়ের কোন তথ্য উপাত্য সংগ্রহ প্রয়োজন বোধ হয়। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পরিষদ প্রয়োজনীয় সব তথ্য সংগ্রহ করে সেবাপ্রর্থীর কাছে ওয়ারিশন সনদ বা নাগরিক সুবিধা প্রদানে কর্তৃপক্ষ বদ্ধপরিকর। মুন্ডুমালা পৌর এলাকার চিনাশো মহল্লার নাম প্রকাশে অনচ্ছিুক আরেক বাসিন্দা জানান, মেয়রকে বরখাস্ত করার পর বিভিন্ন কাজে হয়রানি ও বিড়ম্বনায় পড়েছে পৌরবাসী। তিনি দেড় মাস ঘুরেও পাননি ওয়ারিশ সনদ। দোকানের ট্রেড লাইসেন্সও নিতে পারছেন না অনেকে। তার মতো আরও অনেকে একই সমস্যা নিয়ে এসিল্যান্ড অফিসে ধরনা দিচ্ছেন। ফলে একদিকে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অন্যদিকে ন্যায় সংগত কাজে গিয়ে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। এতে ইউনিয়ন ও পৌর প্রশাসকের প্রতি সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ও অসন্তোষ বাড়ছে।
এবিষয়ে উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভা ও চাঁন্দুড়িয়া ইউপির প্রশাসক উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) মাশতুরা আমিনা বলেন, মৃত ও জীবিত ব্যক্তির এনআইডি ছাড়া ওয়ারিশন সনদ দেয়া সম্ভব নয়। এবিষয়ে রাজশাহী স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জাকিউল ইসলাম বলেন, ওয়ারিশন সনদ ও ট্র্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তিসহ জরুরি কাজে নাগরিকদের হয়রানি ও ভোগান্তি কাম্য নয়। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এব্যাপারে রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আখতার বলেন, মুন্ডুমালা পৌরসভা ও চাঁন্দুড়িয়া ইউপিতে প্রশাসক দ্বারা যদি নাগরিক সেবায় কেউ হয়রানি ও বিড়ম্বনার শিকার হয়ে থাকে তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ‏

Facebook Comments Box

আইন বিষয়ে সহায়তাঃ ০১৭০৩-৮৭১৭৫৭

এই ক্যাটাগরির আরও খবর

অগ্রীম ভর্তি চলছে…..

ফেসবুকে আমাদের পড়ুন ও শেয়ার করুন

error: Content is protected !!