তানোরে দুর্গা পূজার নিরাপত্তায় কঠোর অবস্থানে পুলিশ-প্রশাসন
সুজন তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
আজ বুধবার ৯ অক্টোবর মহা ষষ্ঠীতে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজশাহীর তানোরে দুর্গাপূজা ও পুজা মন্ডবের নিরাপত্তায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে তানোর উপজেলা প্রশাসন ও তানোর থানা পুলিশ।কয়েকস্তরের নিরাপত্তাসহ প্রতিটি মন্দিরে রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।পূজা মন্ডপের নিরাপত্তা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।জানা যায়,উপজেলার২টি পৌরসভার ও ৭টি ইউনিয়নে মোট ৪৯ টি মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও অনেক স্থানে পারিবারিকভাবে দুর্গা পূজার আয়োজন করা হয়েছে।পুজা মন্ডপ ও মন্ডপের আশপাশ ঘিরে রয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা।দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে এবং পূজা চলাকালিন সময়ে পুলিশ ও প্রশাসন ও উপজেলা পুজা উৎযাপন কমিটির পক্ষ থেকে রয়েছে বেশ কিছু নির্দেশনা।পূজা কমিটি ও মন্দির কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই সব নির্দেশনা মেনে চলার জন্য বিশেষভাবে বলা হয়েছে।এর আগে পূজা উৎযাপন উপলক্ষে পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূজা উৎযাপন কমিটির সাথে আলোচনা করা হয়।এই বিষয়ে উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মুকুল কুমার ঘোষ এবং পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি শ্যাম দত্ত জানান,দুর্গা পূজা উপলক্ষে নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশ -প্রশাসনের যে ভুমিকা তা প্রশংসনীয়।এছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ আমাদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন।পুলিশ-প্রশাসন থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা আমরা মেনে চলবো এবং সমস্ত মন্দির কমিটিকে তা মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে।বিশেষ করে আজান ও নামাজ চলাকালীন সময়ে মন্দিরের আসপাশের যে সমস্ত মসজিদ রয়েছে তাদের সময় অনুযায়ী বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখা।ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে সবাইকে পূজা উৎযাপন করার অনুরোধ করা হয়েছে।তানোর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মিজানুর রহমান বলেন,প্রতিটি পূজা মন্ডবে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা রয়েছে।এছাড়াও তানোর থানা পুলিশের একাধিক টিম সার্বক্ষণিক টহল দিবে।এবং একাধিক গোয়েন্দা টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও)মহোদয়সহ আমরা অনেকগুলি মন্ডব পরিদর্শন করেছি এবং নিয়মিত করবো।আশা করছি সকল হিন্দু ভাই-বোনেরা নির্বিঘ্নে পূজা উৎযাপন করতে পারবেন।প্রতিটি মন্দিরে বিট অফিসার সহ পুলিশের একাধিক অফিসারের নম্বর থাকবে,যেকোন প্রয়োজনে আমাদের ফোন করতে পারেন।কেউ কোন বিশৃঙ্খলা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে তানোর থানা পুলিশ সব সময় তানোর উপজেলা বাসির সেবায় নিয়োজিত আছে ও থাকবে।তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মিনহাজুল ইসলাম বলেন,অত্র উপজেলায় ৪৯ টি মন্দিরে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।পূজা উৎযাপনে মন্দির কর্তৃপক্ষেকে কিছু নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।এর মধ্যে প্রতিটি মন্ডবে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা,মন্ডপের নিরাপত্তায় নিজস্ব সেচ্ছাসেবক রাখা এবং সবার দায়িত্ব বন্টন করা।মন্দিরের পার্শ্ববর্তী মসজিদের নামাজ ও আযানের সময়সূচি অনুসারে বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখা,পূজা উৎযাপনের সাথে অসামঞ্জস্য কিছু না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।পূজা মন্ডবের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী,পুলিশ, আনসারসহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত আছে।তাছাড়া যেকোন প্রোয়জনে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
পরিশেষে তানোর উপজেলা বাসীর সকলকের প্রতি শারদীয় শুভেচ্ছা রইলো।