1. admin@dainiksangbadpatradigital.com : admin : HM Faruk
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিঃ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচারঃ তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।  বিশেষ সতর্কীকরণ - "দৈনিক সংবাদপত্র ডিজিটাল " পত্রিকায় প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। ★★দৈনিক সংবাদপত্র ডিজিটাল অনলাইন পত্রিকায় তরুণ ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানী আগ্রহী সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে...★ শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম সম্মান /স্নাতক পাস। এক বছরের অভিজ্ঞতা বাধ্যতামূলক। অভিজ্ঞদের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল যোগ্য। বেতন / ভাতা আলোচনা সাপেক্ষ্য। ★★ সিভি ইমেইল করতে টার্চ করুন
শিরোনামঃ
কলকাতা থেকে দেড়শো কিলোমিটার দূরে, শ্রী শ্রী রাধা মাধব মন্দিরে মানত শোধ করলেন – বাহাদুর পরিবার। তানোরে ভেঁকু দালালদের দৌরাত্ম্য জনজীবন অতিষ্ঠ   রাজশাহীর মোহনপুর বিএনপির সম্মেলন সভাপতি মুন,সম্পাদক মাহাবুর যশোরের অভয়নগর উপজেলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদে কমিটি গঠিত আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে রাবি অধ্যাপককে সাময়িক অব্যাহতি সিরাজগঞ্জে আর্মি ক্যাম্পে ভুয়া ডিজিএফআই সদস্য পরিচয়ে তদবির করতে এসে সেনা সদস্যদের কাছে আটক শেখ হাসিনা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে জনগণের উপর প্রতিশোধ নিতে দেশকে শ্মশানে পরিণত করে গেছে-হাসান মাহমুদ টুকু ভাঙ্গায় অজ্ঞাত মামলা ডাকাতি মূল রহস্য উদঘাটন সহ ৭ ডাকাত আটক ৪টি পিকআপ উদ্ধার কালিয়াকৈরে চাঁদাবাজির দ্বন্দ্বে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত -১ জন নগরকান্দা বিট কমিউনিটি পুলিশিং আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত !

টপ প্রতিটি পাতা বিজ্ঞাপন

তানোরে সারের কৃত্রিম সংকট দিশেহারা কৃষক ? 

দৈনিক সংবাদপত্র ডিজিটাল ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৩০ ৯বার পঠিত

আলিফ হোসেন, তানোরঃ

রাজশাহীর তানোরে টিএসপি ও ডিএপি সার নিয়ে রীতিমতো তুঘলকি কারবার শুরু হয়েছে। এতে কৃষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে আসলে সারের সংকট না সিন্ডিকেট। অন্যদিকে বাইরের উপজেলা থেকে চোরা পথে তানোরে প্রতিদিন শত শত বস্তা সার আসছে, এসব সারের কোনো ক্রয় রশিদ নাই।ফলে সার আসল-নকল না ভেজাল সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

কৃষকদের অভিযোগ একশ্রেণীর সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী সার সংকটের অজুহাত ১৩৫০ টাকা বস্তার টিএসপি ১৯৫০:টাকা ও ১০৫০ টাকার ডিএপি সার সাড়ে ১৫০০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকায় বিক্রি করছে। এতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ কৃষক। কৃষকেরা এক বস্তা টিএসপি ও ডিএপি সারের জন্য সকাল থেকে সন্ধ্যা এক দোকান থেকে আরেক দোকান ধর্না দিয়েও সার পাচ্ছেন না। তবে বাড়তি দাম দিলেই সার পেতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আবার বাড়তি দামে সার দেয়া হলেও কোনো ক্রয় রশিদ দেয়া হচ্ছে না। ফলে এসব সার আসল-নকল না ভেজাল সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।  কৃষকেরা বলছে সংকট অর্থ নাই, তাহলে বাড়তি দাম দিলেই সার পাচ্ছেন  কি ভাবে। আর এসব সার আসছে কোথা থেকে ? বিক্রি করছে কারা ?
স্থানীয়রা জানান, অধিকাংশ সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী আওয়ামী মতাদর্শী। এরা অন্তবর্তী সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে সার নিয়ে সিন্ডিকেট সৃষ্টি করেছে। তারা বলেন, কৃষি বিভাগ কঠোর মনিটরিংয়ের মাধ্যমে বেশী দামে সার বিক্রি বন্ধ করতে পারলেই সিন্ডিকেট ভেঙে যাবে। তবে কৃষি বিভাগের রয়েছে গা-ছাড়া ভাব। অভিজ্ঞ মহলের ভাষ্য,যদি বেশী দামেই সার কিনতে হয়, তাহলে বিসিআইসির ডিলারদের সেই নির্দেশনা দেয়া হোক, এতে কৃষকরা এক জায়গা থেকে সার কিনতে পারলে তাদের দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হবে।

অসমর্থিত একাধিক সুত্র জানায়, তানোর পৌরসভার তালন্দ বাজারের মেসার্স লাবনী ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী গণেশ ও কাজল টেড্রার্স,কালীগঞ্জহাটের মিজান ট্রেডার্সের মালিক মহব্বত আলী, আজিজপুর মোড়ের নজরুল ইসলাম, সরনজাই বাজারের মেসার্স সজিব টেড্রার্স, মাদারীপুর বাজারের মোখলেসুর রহমান ও কৃষ্ণপুর হাটের আলমপ্রমুখ।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,  নওগাঁর মান্দা উপজেলার  সাবাইহাট, দেলুয়াবাড়ী ও চৌবাড়িয়া, রাজশাহীর মোহনপুরের কেশরহাট ও ধুরইলসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে চোরাপথে রশিদ বিহীন সার কিনে অবৈধভাবে মজুদ ও কৃষকের কাছে দ্বিগুন দামে বিক্রি করছেন।

এদিকে এসব সার আসল নকল না নিম্নমাণের সেটা বোঝার ক্ষমতা নাই সিংহভাগ কৃষকের। আবার রশিদ বিহীন এসব সার কিনে কৃষকেরা প্রতারিত হলে পরে ব্যবসায়ীরা অস্বীকার করে, ক্রয় রশিদ  না থাকায় কৃষকরা কোনো প্রতিকার পায় না। তালন্দ ইউপির দুলাল বলেন, তিনি তালন্দ বাজারের গণেশের দোকান থেকে ১৯৫০ টাকা বস্তা টিএসপি সার কিনেছেন, কিন্ত্ত তাকে কোনো রশিদ দেয়া হয়নি। ছাঐড় গ্রামের আব্দুল বলেন, বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মাদারীপুর বাজারের মোখলেসুর রহমানের দোকানে দাঁড়িয়ে থেকেও এক বস্তা সার পাননি। এদিকে বিষয়টি স্থানীয় কৃষি বিভাগকে জানানো হলেও তারা রহস্যজনক ভুমিকা পালন করছে। ফলে কোনো প্রতিকার না পেয়ে কৃষকেরা বাধ্য হয়ে দ্বিগুন দামে সর কিনছেন।  এবিষয়ে জানতে চাইলে মেসার্স লাবনী ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী গণেশ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি সাবাইহাট থেকে মেমো ছাড়াই বেশী দামে সার কিনে আনছেন, কমদামে তো বিক্রি করতে পারেন না, আর এসব নিম্নমাণের নয় ভাল মাণের সার। তিনি বলেন, শুধু  তিনি না সবাই বাড়তি দামে সার বিক্রি করছেন। এবিষয়ে তানোর উপজেলা কৃষি  কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, সারের সংকট নাই বাড়তি দামে সার বিক্রির অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, তাদের বাজার মনিটরিং কাজ চলমান রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের  নভেম্বর মাসে তানোর পৌর এলাকার তালন্দ বাজারের বালাইনাশক ব্যবসায়ী মনিরুলের দোকানে মজুদ সারের কোন মেমো দেখাতে না পারার অপরাধে ১ লাখ ২৬ হাজার, একই কারনে টিপুর ১০ হাজার ও গণেশের ১৫ হাজার এবং কলমা ইউপির সার ব্যবসায়ী নজরুলের সার পাচারে দায়ে এক লাখ টাকা, ধানতৈড় মোড়ের খুচরা সার ব্যবসায়ী জসিমের ট্রাকে করে সার নামানোর দায়ে ১৫ হাজার  টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। তবে এবার চোরা পথে আরো বেশী সার আসলেও  অজ্ঞাত কারণে সেই তৎপরতা।

Facebook Comments Box

আইন বিষয়ে সহায়তাঃ ০১৭০৩-৮৭১৭৫৭

এই ক্যাটাগরির আরও খবর

অগ্রীম ভর্তি চলছে…..

ফেসবুকে আমাদের পড়ুন ও শেয়ার করুন

error: Content is protected !!