আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) এই ভিআইপি সংসদীয় আসনে বিএনপির অত্যন্ত সম্ভবনাময় গোছানো ভোটের মাঠ নষ্টের তৎপরতার অভিযোগ উঠেছে।অভিযোগের তীর কতিপয় ব্যবসায়ীর দিকে। আওয়ামী লীগের ১৭ বছর যিনি রাসিকের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন পরিবারের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। কিন্ত্ত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাতারাতি খোলস পাল্টিয়ে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করে মাঠে নেমেছেন। তবে তিনি নিজেও জানেন মনোনয়ন পাবেন না এটা নিশ্চিত। তার পরেও মনোনয়ন প্রত্যাশীর ধোঁয়া তুলে তিনি বিএনপি নেতার স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করছেন। মনোনয়ন নয় তার উদ্দেশ্যে মুলত বিএনপি নেতার স্বীকৃতি আদায়ের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রাসিক মেয়র লিটন পরিবারের সখ্যতায় অর্জিত তার বিপুল বিত্তবৈভব নিরাপদ রাখার কৌশল বলে মনে করছেন তৃণমুল। এদিকে এসব ঘটনায় বিএনপির আদর্শিক এবং নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ-অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে, বিরাজ করছে বিস্ফোরণমুখ পরিস্থিতি। তাদের এসব অপতৎপরতা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উঠেছে সমালোচনার ঝড়, বইছে মুখরুচোক নানা গুঞ্জন , দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া।
স্থানীয়রা জানান, যিনি এসব করছে তার রাজনৈতিক জীবনটাই বির্তকিত ও পালাবদলের, এবং তার রাতারাতি বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক হবার গল্প রুপকথার গল্পকেও হার মানায়। এক সময় যিনি ছিলেন সাধারণ ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের ১৭ বছরে লিটন পরিবারের সখ্যতায় তিনি হয়েছেন বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক, তাহলে তিনি বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন কোন যাদুর বলে, না নেপথ্যে অন্য কিছু রয়েছে।
জানা গেছে, রাজশাহী অঞ্চলে বিএনপির আদর্শিক রাজনীতি ও নেতৃত্বে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান সাবেক ডাকমন্ত্রী প্রয়াত ব্যরিষ্টার আমিনুল হক পরিবারের কোনো বিকল্প নাই। আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখানে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিন এটা প্রায় নিশ্চিত।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিন ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সামরিক সচিব,হয়েছেন চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তার মতো নেতৃত্বরা মনোনয়ন নেয় না, তাদের সুপারিশে দু’ চারজনের মনোনয়ন হয়। রাজনীতিতে নেতৃত্বের প্রতিযোগীতায় শরিফ উদ্দিনের মতো নেতৃত্বকে হারানো যায় না, তারা যেকোনো রাজনৈতিক দলের কাছেই বড় সম্পদ। ফলে শরিফ উদ্দিনের মতো নেতৃত্বের সঙ্গে প্রতিযোগীতার নামে বিরোধ নয় তাদের সঙ্গে সমঝোতা করে চলতে এবং শিখতে হয়, ঠান্ডা-শিতল ঘরের রাজনৈতিক কলাকৌশল। আর যাদের এসব বোঝার ক্ষমতা নাই তারাই রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়ে অতল গহবরে হারিয়ে যায়।
তৃণমুলের ভাষ্য, বাংলাদেশে এখন মাঠে-ঘাটে বগী আওয়াজ বা ভাড়া করা লোক দিয়ে সমাবেশ করে রাজনীতি হয় না।এখন ঠান্ড ঘরে বসে গরম কফির কাপে চুমুক দিয়ে টেলিভিশনের পর্দায় ফর্মুলা ওয়ান দেখতে দেখতে রাজনীতি হয়।
এবিষয়ে তানোর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী মাষ্টার বলেন, দেশের সর্ব বৃহত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল বিএনপি। তিনি বলেন,দলের মনোনয়ন যে কেউ চাইতেই পারে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এখানে মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিনের মনোনয়ন নিশ্চিত। তিনি আরো বলেন, আমরা তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ বিএনপি মাঠ গোছানোর কাজ শুরু করেছি।এবিষয়ে তানোর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল মালেক মন্ডল বলেন, এখানে মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিনের মনোনয়ন নিশ্চিত,তার বিজয় নিয়েও আমাদের ভাবনা নাই। তিনি বলেন, আমাদের ভাবনা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটের ব্যবধানে তাকে বিজয়ী করা, সেই পরিকল্পনা নিয়েই তার নেতৃত্বে আমরা কাজ করছি।