রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিজ্ঞান অনুষদের ৮জন শিক্ষক এবং ৫৪ জন শিক্ষার্থীকে ডীনস্ অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ ও ২০২৪ প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে এ আয়োজন করা হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন রিসার্চে অবদান রাখার জন্য ২৬ জন শিক্ষককে আর্টিকেল অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এ সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও পুরস্কারের চেক তুলে দেওয়া হয়।
২০২৩ সালের ডীনস্ অ্যাওয়ার্ড পাওয়া ৮ জন শিক্ষক হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক মোসফেকুর রহমান এবং অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান। পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নূরুল হক মোল্লা, গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুস। প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. খালেদ হোসেন, অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম এবং অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক এ এইচ এম খুরশীদ আলম।
এছাড়াও ২০২৩ ও ২০২৪ সালের অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত ৫৪ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণিত বিভাগে ৬ জন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৬ জন, রসায়ন বিভাগের ৭ জন, পরিসংখ্যান বিভাগে ৭ জন, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৭ জন, ফার্মেসি বিভাগের ৭ জন,পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ৩ জন, ফলিত গণিত বিভাগের ৬ জন ও ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স রয়েছেন ৫ জন শিক্ষার্থী।
বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক নাসিমা আখতার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশে উপাচার্য বলেন, “কোনো অ্যাওয়ার্ডই ব্যক্তিগত অর্জন নয়, এর পেছনে বহু মানুষের অবদান থাকে। পরিবার, রাষ্ট্র ও সমাজের অবদান ভুলে গেলে চলবে না। পুরস্কার পাওয়া আনন্দের, কিন্তু এর সঙ্গে দায়িত্বও বেড়ে যায়। নাগরিক হিসেবে যদি সেই দায়িত্ব অনুভব না করি, তবে পুরস্কারের মূল্য থাকে না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৪ সালে ডীনস্ অ্যাওয়ার্ড প্রদান শুরু করে। আমরা ইতোমধ্যে এক দশক পার করেছি। আমরা আশাবাদী যারা আজকের অ্যাওয়ার্ড পেলেন তারা আরো বেশি বেশি করে গবেষণায় মনযোগী হবেন।”
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দিন খানসহ বিভিন্ন অনুষদের ডীনসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।