হাতির তান্ডবে কৃষকের স্বপ্ন পন্ড
তানিম আহমেদ, শেরপুর প্রতিনিধিঃ
ফসল নিয়ে দু’চোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকা নাম হলো কৃষক। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে স্বপ্ন। দিনের পর দিন ঘাম আর শ্রমের ফসল যেন ধংসাবশেষ। বলছি শেরপুরের সীমান্তবর্তী এলাকায় বন্যহাতির তান্ডবের কথা। ফসল নেই, বসতভিটা তো আছে, আছে কিছু ফলজ গাছ, এসব দিয়েই কেটে যাবে বাকি দিনকাল। এই আশাও নিরাশ। ফসল নষ্ট করে এবার আক্রমন গাছ ও বসতবাড়িতে। না আর পারা যায় না। এবার রুখে দাঁড়াতে হবে প্রতিজ্ঞা নিয়ে লড়াই করতে গিয়ে বন্যহাতির পায়ে নিজ জীবনটাই পিষ্ট হয়ে গেল। ফসল থেকে জীবন সব কিছুই কেড়ে নিচ্ছে ঘাতক বন্যহাতির দল।
এভাবেই তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে শেরপুরের নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও হালুয়াঘাট সীমান্তের মানুষ লড়াই করছে বন্যহাতির সাথে। ফসল নষ্ট অথবা মানুষ মারা যাওয়ার পর কিছু অনুদান দিয়েই দায় সারছেন সরকার। হাতি – মানুষ দ্বন্দ্ব নিয়ে আদৌ হয়নি স্থায়ী কোনো সমাধান।
হাতিরই কি বা দোষ পাহাড় নিধন থেকে শুরু করে বিভিন্ন অবৈধ কর্মকান্ডের ফলে খাবার সংকটে পড়েই মানুষের খাবারে ভাগ বসাতে হচ্ছে তাদের।
কিন্তু একটি হাতি মারা গেলে যে তৎপরতা দেখা যায় সে তুলনায় মানুষের মৃত্যুতে যা হয় সব নিয়ম রক্ষায়। ফসল রক্ষার ক্ষেত্রে কিছু সুরক্ষা কৃষক নিয়ে থাকেন, তার মানে এই না, কৃষক হাতি মারতে ফাঁদ পেতেছেন। কখনো একটা হাতি মারা গেল মামলা দিয়ে ভোগান্তিতে ফেলা হয় কৃষককে।
আমরা বাইরে থেকে এসব নিয়ে নানাবিধ মন্তব্য করি কিন্তু সীমান্তে বসবাসরতরা বুঝতেছে হাতি মানুষের লড়াই কি।
আগে আমার নিজের বাঁচতে হবে, তবে তো আমি বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে পারবো।
পরিশেষে সরকারিভাবে উদ্যোগ নিয়ে রক্ষা করা হোক হাতি বাঁচানো হোক মানুষ এই কামনা রইলো।