আসাদুল্লাহ গালিব, রাবি প্রতিনিধি: রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ, সর্বস্তরের আওয়ামী সন্ত্রাসী-কুশীলবদের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এই কর্মসূচি পালন করে তারা।
ছাত্রলীগকে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ, লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ও গণহত্যার দোসরদের বিচারের দাবিও করেন তারা।
এসময় "জ্বালো রে জ্বালো আগুন জ্বালো", "দালালি না রাজপথ রাজপথ রাজপথ", "আপোষ না সংগ্রাম? সংগ্রাম সংগ্রাম", "অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন", "লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই", "দড়ি ধরে মারো টান চুপ্পু হবে খান খান", "আওয়ামীলীগের দালালীরা হুঁশিয়ার সাবধান", "রায়হান সাকিব মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ", "ডাউন ডাউন চুপ্পু", "এক দুই তিন চার চুপ্পু তুই গদি যার", "লেজুড়বৃত্তির ঠিকানা এ ক্যাম্পাসে হবে না" এমনসব স্লোগান দিতে শোনা যায়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বলেন, সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ কোনভাবেই এ দেশের রাজনীতি করার অধিকার রাখে না, অবিলম্বে ছাত্রলীগ কে নিষিদ্ধ করতে হবে। লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। ছাত্রলীগের নিষিদ্ধের দাবিতে যদি শহীদ হতে হয় সেই শহীদ যেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হয়। সেই শহীদের নাম যেন মেহেদী সজীব হয়। প্রশাসন কে বলতে চাই খুনিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। হল প্রশাসনকে সন্ত্রাসী দের চিন্তিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। চুপ্পুকে বলতে চাই, তোমার মাতার গণভবন যেভাবে ঘেরাও করা হয়েছিল বঙ্গভবনও ঘেরাও করা হবে।
আরেক সমন্বয়ক ফাহিম রেজা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, চুপ্পু বিভিন্ন ভাবে আন্দোলন কে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। তাকে বলতে চাই তোমার মাকে তল্পিতল্পা গুছিয়ে ভারতে পাঠিয়ে দিয়েছি আমরা। তুমি চুপ্পুকে দড়ি ধরে না সুতা ধরে টান দিলে তুমি টিকতে পারবা না। একই সাথে বলতে চাই এই ক্যাম্পাসে আর কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলবে না। আওয়ামী লীগের দোসররা বিভিন্ন সময় আন্দোলন কে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়েছে আন্দোলনের সময় । শিক্ষক নামে এই সন্ত্রাসীরা এখনো প্রশাসনের নানান দায়িত্বে রয়েছে। তাদের কে বহিষ্কার করতে হবে। প্রশাসন যদি ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে আবারো শিক্ষার্থীরা মাঠে নামবে।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর লিখিত দাবি হস্তান্তর করে বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ইস্যু নিয়ে বিতর্কিত হয়েছেন রাষ্ট্রপতি। শনিবার (১৯ অক্টোবর) মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে আলাপকালে রাষ্ট্রপতি বলেন, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। সাক্ষাৎকারটি মানবজমিন পত্রিকার রাজনৈতিক ম্যাগাজিন সংস্করণ 'জনতার চোখ'-এ প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ মাসুদ করিম, সহ-সম্পাদকঃ বিশ্বজিত কুমার দাস
বার্তা সম্পাদকঃ হোসেন মোহাম্মদ ফারুক
E-mail: dainiksambadpatradigital@gmail.com