রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্র শিবিরের উদ্যোগে ৫ শতাধিক নবীন শিক্ষার্থী (২০২৩-২৪ সেশন) নিয়ে শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হয়েছে।
আজ শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে ১১টি বাস নিয়ে নওগাঁর কুসুম্বা মসজিদ, পাহাড়পুর এবং সোমপুর বিহারের উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করেন।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, এটি শুধু একটি সফর নয়, বরং একটি আদর্শ, দেশপ্রেমিক প্রজন্ম গড়ে তোলার প্রচেষ্টা। পূর্ববর্তী সরকার এ ধরনের আয়োজন অনুমোদন না দিলেও এখন শিক্ষার্থীরা আগ্রহ নিয়ে এতে অংশ নিচ্ছে। সফরের উদ্দেশ্য সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করা এবং তাদের আদর্শিক ও সেবামূলক চরিত্র গঠন করা।
শিবিরের উদ্যোগে আয়োজিত এই শিক্ষা সফরের প্রশংসা করেছেন নবীন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষা সফরে অংশ নিয়ে ইতিহাস বিভাগের আরেক নবীন শিক্ষার্থী আহমেদ সানি বলেন, “শিবিরের এমন উদ্যোগ আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। এই সফর শুধু ইতিহাস শেখায়নি, বরং আমাদের ঐতিহ্যের প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ তৈরি করেছে। প্রতি বছর এমন সফরের আয়োজন করলে শিক্ষার্থীরা আরো বেশি উপকৃত হবে বলেও জানান তিনি।”
হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রুহুল আমিন জানান, “এই প্রথম শিবিরের আয়োজনে শিক্ষা সফরে যাচ্ছি। স্কুল-কলেজের শিক্ষা সফর থেকে সম্পূর্ণ ব্যাতিক্রম অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। যা আমাদের অ্যাকাডেমিক জীবনকে সমৃদ্ধ করে, ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে। শিবিরের এমন আয়োজনের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মো. মোস্তাকুর রহমান জাহিদ জানান, “আজ ৫০০’র বেশি নবীন শিক্ষার্থী নিয়ে আমরা শিক্ষা সফরে বের হয়েছি। বিগত সরকার আমাদের এসব আয়োজন করতে দেয়নি, কিন্তু আজ শিক্ষার্থীরা অনেক আগ্রহ নিয়ে উপস্থিত হয়েছে। ফ্যাসিস্টরা বিশ্বাস করতো না ক্যাম্পাসে সবার আদর্শের অবাধ প্রদর্শন হবে, শিক্ষার্থীরা তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী গ্রহণ অথবা বর্জন করবে।”
শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. আব্দুল মোহাইমেন বলেন, “৫ আগস্ট থেকে আমরা উন্মুক্ত পরিবেশে কার্যক্রম শুরু করেছি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সফলভাবে বিভিন্ন আয়োজন করছি। এই সফরের মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুসম্পর্ক ও নেতৃত্বগুণ গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। এটি শুধু একটি সফর নয়, বরং একটি আদর্শ, দেশপ্রেমিক প্রজন্ম গড়ে তোলার প্রচেষ্টা।”
তিনি আরও বলেন, “সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করা এবং তাদের আদর্শিক ও সেবামূলক চরিত্র গঠনে উদ্বুদ্ধ করা। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে ভবিষ্যতে সমাজ ও জাতির জন্য অবদান রাখুক।”