রাজশাহী কলেজ ছাত্রী নিবাসের খাবারে পোকা, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা
মোঃ ইউসুব আলী, রাজশাহী কলেজ প্রতিনিধিঃ রাজশাহী কলেজ ছাত্রী নিবাসের খাবারের মান নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের যেন অন্ত নেই। সেখানকার ডাইনিংয়েন খাবারের মান এতই নিম্নমানের যে, খাবারে পোকা একই সঙ্গে মিলছে মাছিও। এতে শিক্ষার্থীদের বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
খোজ নিয়ে জানা যায়, ডাইনিংয়ের খাবারে প্রায়শই পাওয়া যায় বিভিন্ন পোকা-মাকড়। রান্না করার স্থানসহ খাবার পরিবেশনের জায়গাও বেশিরভাগ সময় থাকে অপরিষ্কার, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা। ডাইনিংয়ের কর্মচারীরাও নোংরা হাতে খাবার পরিবেশন করে। এতে শিক্ষার্থীদের খাবারের রুচি নষ্ট হয়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে ক্যাম্পাস সংলগ্ন হোটেলগুলোতে খাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে শিক্ষার্থীদের যেমন গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ।
ছাত্রী নিবাসে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। এ খাবার খাওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের বমি, পেটে ব্যথা, ডায়রিয়াসহ নানা রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আবার ছাত্রীরা ক্লাস গেলে বা বাহিরে থাকলে আসতে একটু দেরি হয়ে গেলে ছাত্রীদের খাবার ফুরিয়ে গেছে বলে খাবার দেয়া হয় না। ছাত্রীনিবাসে খাবারের সমস্যাগুলো এভাবেই চলছে দিনের পর দিন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রাজিয়া বলেন, আজ দিয়ে আমি ৩ দিন খাবারে পোকা পেলাম। যখনই খালাদের বলি আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে এবং বলে পরে পড়েছে পোকা। নিজের দোষ গুলো স্বীকার করে না। এমনকি আমরা সকালে ঠিকমতো খাবার পাই না।
সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শারমিন সিমলা বলেন, হোস্টেলের খাবার মান একদিকে যেমন খারাপ। অন্যদিকে খাবার টেবিলে দেখা দেয় পোকা। এতে আমাদের খাবারের প্রতি অনীহা আসে। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কারণে আমরা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছি।
রাজশাহী কলেজ ছাত্রী নিবাসের ডাইনিং সহকারী আফতাব উদ্দিন বলেন, আমি শুধু বাজার করে দেই। রান্নাঘর ও ডাইনিং এ ময়লা একটু হয়ই। আমরা সব সময়ই পরিস্কার করে রাখি। কার্তিক মাসে এসময়ে পোকা বেশি হয়, লাইটের আলোতে আসে, পোকা তাড়িয়ে রাখি।
রাজশাহী কলেজ ছাত্রী নিবাসের তত্ত্বাবধায়ক মোছা জান্নাতুন নেছা বলেন, খাবারের সময় আমরা অনেক সময় চালের পোকা পাই, ওই রকম হয়তো হতে পারে। আমরা সবসময় সতর্কতার সাথে সুন্দরভাবে বিষয়গুলো দেখে থাকি। আয়া গুলা আছে তাদের সুন্দরভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে খাবার পরিবেশন এর জন্য নির্দেশনা দিয়ে তারা সেভাবেই কাজ করে। আমি মাঝে মাঝে যেও পরিদর্শন করি।