আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহী অঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত আসেনি প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র। ঘন কুয়াশাঁর সঙ্গে হালকা ফোটা ফোটা বৃষ্টি।দিনভর দেখা মেলেনি সুর্যের। দিনের বেলাতেও হেডলাইন জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। অগ্রহায়ণের শেষদিকে এসে হঠাৎ জেঁকে বসেছে শীত নেমেছে।
ভোরের প্রকৃতি ঢেকে থাকছে ঘন কুয়াশায়। বেলা না গড়ানো পর্যন্ত ঠাণ্ডা কমছে না। আবার বিকালের পর থেকেই অনুভূত হচ্ছে শীত। বইছে হিমেল হাওয়া। ফলে আরও শীত বাড়ছে। এর ফলে শীতে কাঁপছে মানুষ। এরইমধ্যে শহর ও গ্রামের ফুটপাতে গরম কাপড়ের দোকান বসেছে। সেখানে ভিড় বাড়ছে মানুষের। কিন্তু আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় অনেকেই গরম কাপড় কিনতে পারছে না। ফলে শীতে কষ্ট পাচ্ছেন নিম্নআয়ের ছিন্নমূল মানুষ। তাদের জন্য এখনও পর্যন্ত সরকারি কিংবা বেসরকারি উদ্যোগে শীতবস্ত্র নিয়ে আসেনি কেউ।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানিয়েছে, ৯ ডিসেম্বর সোমবার ভোর ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারও আগে গত শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহ ধরেই রাজশাহীতে শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে।
এবিষয়ে রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, ‘এখন কয়েকদিন দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। তবে এখনই শৈত্যপ্রবাহের কোন পূর্বাভাস দেয়নি আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিকে শীত নামলেও রাজশাহী শহর বা মফস্বল এলাকায় সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি। সম্প্রতি শুধু একটি সামাজিক সংগঠনকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় কিছু শীতবস্ত্র বিতরণ করতে দেখা গেছে। এর বাইরে কোথাও কাউকে শীতার্ত মানুষের পাশে শীতবস্ত্র নিয়ে দাঁড়াতে দেখা যায়নি। এবিষয়ে রাজশাহী জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সালাহ উদ্দীন আল ওয়াদুদ বলেন, ‘আমাদের এখনও শীতবস্ত্র বরাদ্দ আসেনি। বরাদ্দ আসলে জেলার সবখানেই তা বিতরণ করা হবে।