পুলিশ মোতায়েন
মোঃ রিপন শেখ ভাঙ্গা(ফরিদপুর) –
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় জব্দকৃত বালু টেন্ডারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ নেতা -কর্মীদের হামলায় বিএনপির ৪ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। হামলায় সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও তার সহযোগীরা কিছু সময় বালু মহলে আটকা পড়েন। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।হামলায় আহতদের ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার(১০ ডিসেম্বর ) বেলা ১১ টার সময় ভাঙ্গা উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের চরমুগডোবা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।
হামলায় আহতরা হলো, ঢাকা বাংলা কলেজের ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেয়ান জমাদার (৩০), বিএনপির কর্মী কাওছার হোসেন(৪০), আব্দুর রহমান (৪০) ও কুদ্দুস জমাদ্দার (৫০)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ২ মাসে আড়িয়াল খাঁ নদী থেকে অবৈধ ভাবে প্রায় ৩ লক্ষ ঘনফুট বালু উত্তোলন করে আওয়ামী লীগ নেতা রিপন খাঁ ও বিএনপির নেতা রবিউল জমাদ্দার । সে সময় উক্ত বালু তৎকালীন ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জব্দ করেন। সেই জব্দকৃত বালু আজ মঙ্গলবার সকালে টেন্ডারের নামে উপজেলা প্রশাসন মাত্র ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করেন । সে সময় টেন্ডারের করতে আসা রিপন খাঁ সহ উপজেলার কিছু বিএনপির নেতা কর্মী হাজির হন। তখন আ-লীগ নেতা রিপন খাঁ তার লোকজন বিএনপির নেতা- কর্মীকে ধরে নিয়ে মারধর করেন। এ ঘটনা এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান জানান, আড়িয়ালখাঁ নদীর পাড়ে জব্দকৃত ৩ লাখ ঘনফুট বালু কাওলিবেড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে বসে ৩ লাখ টাকায় টেন্ডারে রবিউল জমাদ্দারকে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আমরা সরেজমিনে আড়িয়াল খাঁ নদীর পাড়ে জব্দকৃত বালু পরিদর্শনে যাই। সেখানে রিপন খাঁ তার লোকজন বিএনপির কয়েকজনকে আটকে রেখে মারধর করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে। এ ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ডিউটি অফিসার এস, আই মামুন জানান, কাওলিবেড়া ইউনিয়নের চরমুগডোবা এলাকায় একটি টেন্ডার নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কেউ এখনও পর্যন্ত অভিযোগ দেয় নাই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয় জব্দকৃত বালু টেন্ডারের বিজয়ী ফরিদপুর জেলা বিএনপির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক রবিউল জমাদ্দার জানান, আমি টেন্ডারের বিজয়ী হওয়ার পর আ-লীগ নেতা রিপন খাঁ ক্ষিপ্ত হয়ে সে ও তার লোকজন আমার নেতা-কর্মীর উপরে হামলা করে। এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেল, মোবাইল ও কিছু টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশের সতর্ক অবস্থা রয়েছে।