মোঃ রিপন শেখ ভাঙ্গা ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানা পুলিশ ডাকাতি মামলার মূলরহস্য উদঘাটন করার হয়েছে।রবিবার প্রেস ব্রিফিং এসব কথা বলেছেন ৭জন ডাকাত গ্রেফতার সহ ১টি পিকআপ ভ্যান ও ৩ টি মহেন্দ্র গাড়ি ডাকাতি কাজে ব্যবহৃদ রামদা চাপাতি,স্টিলের ছোরা,সহ দেশীয় অস্ত্র ও সরঞ্জামাদী,দশ হাজার টাকা মোবাইল ফোন সহ উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ।
মামলার বাদী ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জের ধর্মদী গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার পুত্র মোঃ নজরুল ইসলাম একজন গরু ব্যবসায়ী।গত১ ডিসেম্বর রাতে তিনি যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানাধীন চাড়াভিটা নামক স্থান এলাকার সেলিমের বাড়ী হতে বাচ্চা সহ একটি গাভী এবং অপর দুইটি গাভী গরু কিনে তার ব্যক্তি মালিকানাধীন পিকআপ গাড়ীতে করে বাড়ী উদ্দেশ্যে রওনা হয়।রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার মাধবপুর টেননিক্যাল কলেজের সামনে ফরিদপুর -ঢাকা মহাসড়কের পাকা রাস্তার উপর পৌছালে অজ্ঞাতনামা ১৩/১৫ জনের একটি ডাকাত দল সাদা রংয়ের মাহিন্দ্রা পিক যোগে ভাঙ্গা দিকে হতে বাদীর পিকআপ ওভারটেক করে সামনে নিয়ে গিয়ে গতিরোধ করে এবং গাড়িটি থামায়।গাড়ীতে থাকা অজ্ঞাত ডাকাতরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গরু ব্যবসায়ী মোঃ নজরুল ও পিকআপ চালককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে এরা রাস্তায় পাশে ফেলে রেখে গরু সহ পিকআপ গাড়ী নিয়ে পালিয়ে যায়।
রবিবার ২২ ডিসেম্বর ভাঙ্গা থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভাঙ্গা এলাকার থেকে বিভিন্ন কৌশলে গোপন সংবাদ ভিত্তিতে ডাকাতদের গ্রেফতার করে পুলিশ। ভাঙ্গা থানার মামলা নং-০৫, তারিখ ০৫/১১/২০২৪ খ্রি:, ধারা: ৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড এর গ্রেফতারকৃত আসামী হলেন,১। সোহেল কাজী(২৩), পিতা-মোঃ সুবাহান কাজী , মাতা-আঞ্জুয়ারা বেগম, ২। জুয়েল কাজী(২২), পিতা-মোঃ জাকির কাজী, মাতা-হাসি বেগম, উভয় সাং-শিবগাতী জুনাশুর, ইউপি-মহেশপুর, থানা-কাশিয়ানী, ৩। মিন্টু শেখ(৫৫), পিতা-মোঃ ইউনুস শেখ, মাতা-কহিনুর বেগম, সাং-কান্দি, ৪। মোঃ সাগর(২৫), পিতা-কাজল শেখ, মাতা-হোসনেয়ারা খাতুন, সাং-ধোরার, উভয় ইউপি-কুসলা, থানা-কোটালীপাড়া, সর্ব জেলা-গোপালগঞ্জ, ও ভাংগা থানার মামলা নং-৩২, তারিখ ২২/১২/২০২৪ খ্রি:, ধারা: ৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড এর গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মেহেদী হাসান মৃধা(২৮), পিতা-মৃত ইমদাদুল হক মৃধা, সাং-শংকরদী, ইউপি-বদরপাশা, থানা-রাজৈর, জেলা-মাদারীপুরদ্বয় ফৌঃকাঃবিঃ ১৬৪ ধারামতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করায় গ্রেফতারকৃত আসামীদের কে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে উপস্থিত ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট আসামী স্বীকারোক্তি প্রদানের লক্ষ্যে প্রেরণ করা হয়েছে।