বাউফলে শিক্ষকের ঘর ভাংচুরের ঘটনার দুই দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ
দৈনিক সংবাদপত্র ডিজিটাল ডেস্ক :
প্রকাশের সময় :
সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪
২১
৯বার পঠিত
বাউফলে শিক্ষকের ঘর ভাংচুরের ঘটনার দুই দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ
মোঃ জসীম উদ্দিন,বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃপটুয়াখালীর বাউফলে একজন শিক্ষকের বসতঘর হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দুইদিনেও মামলা নেয়নি থানা পুলিশ। গত শনিবার (১২ অক্টোবর) বেলা এগারোটায় উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ছয়হিস্যা তাঁতেরকাঠি গ্রামে একজন শিক্ষকের বসতঘরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিন রাতে বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষক।
ভুক্তভোগী শিক্ষকের নাম আলমগীর হোসেন মাষ্টার (৫৮)। তিনি উপজেলার তাঁতেরকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক। তার বসতঘরে হামলা ভাঙচুরের ও লুটপাটের ঘটনায় অভিযুক্ত তারই আপন ভাতিজা করিম শাহ (৩২) ও কাওসার শাহ (২৮) এবং অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্তরা৷
ভুক্তভোগী পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষক আলমগীরের সাথে তার বড় ভাই’র সাথে জমি জমা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিলো। স্থানীয় ভাবে ও থানা পুলিশের মাধ্যমে একাধিকবার মীমাংসা করার চেষ্টা করেও সমাধান করা সম্ভব হয়নি৷ গত শুক্রবার শিক্ষক আলমগীর নিজ ঘরের সাথে তার ভোগদখলকৃত জমিতে বসতঘর সংযুক্ত খাবার ঘর ও রান্নাঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। পূর্ব বিরোধের জেরে শনিবার (১২ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে করিম শাহ ও কাওসার শাহ’র নেতৃত্বে ১০—১২ জন দুর্বৃত্তরা নির্মানাধীন সেই ঘর ভাঙচুর করে। এসময় হামলাকারীরা ভুক্তভোগীর বসতঘরে ঢুকে সুকেজ ভেঙ্গে নগদ টাকা—স্বর্নালঙ্কার লুটপাট করে। ঘটনার সময় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পৌছালে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত করিম শাহ ও কাওসার শাহ’র ঘরে গিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি। তবে তাদের বাবা আবুল কাশেম শাহ ও মা সুফিয়া বেগম বলেন, তাদের সাথে আমাদের জমি জমার ভাগ বন্টন নিয়ে বিরোধ আছে। ওই বিরোধীয় জমি নিয়ে সালিশ চলোমান রয়েছে। ‘শিক্ষক আলমগীর সালিশের সিদ্ধান্ত ছাড়াই বাড়িতে নতুন ঘর নির্মাণের কাজ করেছে, তাদের নিষেদ করলেও কাজ করতে থাকে। তাই আমাদের মেজো ছেলে (করিম) লোকজন নিয়ে ঘর ভেঙে ফেলেছে।
এদিকে অভিযুক্ত পরিবার ঘটনা স্বীকার করলেও দুই দিনে মামলা নেয়নি পুলিশ। অভিযোগের তদন্ত অফিসার বলেন, জরুরি সেবার ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তাদের দুই ভাইয়ের মধ্যকার বিরোধ। স্থানীয় ভাবে মীমাংসা হওয়ার কথা ছিলো । সিদ্ধান্তের অপেক্ষা না করে ঘর নির্মাণ করেছেন ওই স্কুল শিক্ষক। এজন্য অভিযুক্তরা সেটা ভেঙে ফেলেন। থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া আছে। আমরা প্রাথমিক তদন্ত করেছি। আরো অধিকতর তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।