সাইদ সাজু, নিজস্ব প্রতিবেদক
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উপর আস্থা রাখতে শুরু করেছে কৃষকদের। ফলে, প্রাণ চঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে উপজেলা পর্যায়ের অফিস গুলোতে। কৃষকদের আশির্বাদ হয়ে আসা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার পর সেচ ব্যবস্থাসহ বৃক্ষ রোপন, রাস্তা নির্মান, খাল ও পুকুর খননসহ বিভিন্ন কর্মসুচী বাস্তবায়নের কারনে মরুভূমি ক্ষ্যাত এলাকায় খাদ্য উৎপাদনসহ সবুজে সবুজে ভোরে উঠার পাশাপাশি উন্নয়নের ছোঁয়া লাগতে শুরু করে।
ফলে, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কৃষকদের মাঝে উন্নয়নের এক রোল মডেল ও নির্ভর যোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থান পায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নামের এই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ড. আসাদুজ্জামান আসাদের পরিকল্পনা ও নিষ্ঠা ও কঠোর পরিশ্রমে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটি হয়ে উঠে উন্নয়ন নির্ভরতার প্রতিক।
আ’ লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা ড. আসাদুজ্জামানকে সরিয়ে সরকার দলীয় নেতাদের জন্য পদ পদবি সৃষ্ঠি করে দলীয় নেতাদের শীর্ষ পদে বসিয়ে শুরু করান অনিয়ম দূর্নীতিসহ সেচ্ছাচারিতা। ফলে, চেন অব কমান্ড ভেঙ্গে পড়ার পাশাপাশি থমকে যায় উন্নয়ন কর্মকান্ড এবং বিশৃঙ্খলা পরিবেশের সৃষ্টি হয়। কৃষকরা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেন।
আ’ লীগ সরকারের পতনের পর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা ড. আসাদুজ্জামানকে আবারো ফিরিয়ে এনে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া। আসাদুজ্জামানকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়ার পর কৃষকদের মাঝে উৎপুল্লতার পাশাপাশি আস্থা ফিরতে শুরু করে। ড. আসাদুজ্জামান চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পরপরই শৃঙ্খলা ফিরতে শুরু করে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মধ্যে।
এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কৃষকদের সেচ প্রদানের জন্য বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্থাপিত গভীর নলকুপ। ৫ই আগষ্ট আ’ লীগ সরকারের পতনের পর পরই দখল নিয়ে শুরু হয় হাউকাউ। ফলে, বিশৃংখল পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি হতাশা ও উৎকন্ঠার সৃষ্টি হয় কৃষকদের মধ্যে।
ড.আসাদুজ্জামান বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর পরই তিনি গভীর নলকূপ গুলোর শৃঙ্খলা ফেরাতে স্বচ্ছতার জন্য অপারেটর পদে নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে অপারেটর নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। কৃষকদের মাঝে আস্থা ও শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং সঠিক ভাবে সেচ প্রদানের জন্য গভীর নলকূপের অপারেটর পদে পরীক্ষার নিয়োগ প্রকৃয়াকে সাদুবাদ ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে মনে করছেন কৃষকরা।
এঘটনায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান কৃষকদের প্রসংশায় ভাসছেন। কৃষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন পর স্বচ্ছতার মাধ্যমে গভির নলকূপ গুলোকে অপারেটর নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। ফলে জবাব দিহিতা নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি সঠিক ভাবে কৃষকরা সেচ পাবেন। এমন স্বচ্ছতা শহীদ গভির নল খুব অপারেটর কে কেন্দ্র করে উপজেলা পর্যায়ের দপ্তর গুলোতে প্রাঞ্জলতা ফিরেছে।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী জামিলুর রহমান বলেন, ছচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এবং কৃষকদের মাঝে সঠিক ভাবে সেচ প্রদানের জন্য পরীক্ষার মাধ্যমে অপারেটর নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃষকদের আস্থা ফেরার কারনে উপজেলা পর্যায়ের অফিস গুলোতে কর্ম চাঞ্চল্য ও প্রাণ চঞ্চল্য ফিরেছে।