মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি: ফেসবুকে ব্যজ্ঞ ও নাবালকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে হাফেজ আব্দুল মুকিত রাজুর নামে ২০১৭ সালে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় রাজশাহীর দামকুড়া থানায় মামলা করেন হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চোরাকারবারী কামরুজ্জামান বাদল। হাফেজ আব্দুল মুকিত (রাজু) হরিপুর গ্রামের দিনমজুর রিয়াজুল ইসলামের ছেলে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা লরিকের ছেলে কামরুজ্জামান নবাব ও বেদু কাপড়ের ছেলে রফিকুল ইসলাম’র যোগসাজসে দামকুড়া থানা পুলিশ হাফেজ রাজুকে গ্রেফতার করে। আদালত মুকিতকে জেলহাজতে পাঠায়। অবশেষে ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি মুকিতকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জিয়াউর রহমান। মাঝে কয়েক মাস ছাড়া প্রায় তখন থেকেই হাফেজ মুকিত এখনো তিনি কারাগারে জেল খাটছেন।অবহেলিত মুকিতের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম জানান মোবাইল ফরেনশিফের পরিক্ষা ছাড়া ফেসবুকের স্ক্রিনশটের পোস্টের আলোকে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া বেআইনী।
মুকিত রাজু একজন কোরআনের হাফেজ। জেলে অবস্থানকালে সেখান থেকে পরীক্ষা দিয়ে তিনি বিএ ও এমএ পাস করেছেন । ফ্যসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়েরকৃত তর্কিত আইসিটি আইনের মামলায় দেশের অনেকই মুক্তি পেয়েছে কিন্তু তার তখনকার নাবালক ছেলেকে এখনও জেল খাটতে হচ্ছে। এটা অমানবিক আর দেশ স্বাধীন হলেও তার ছেলে এখনো জেলের আয়না ঘরেই থেকে যাচ্ছে। এদিকে খোজ নিয়ে জানা গেছে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সাইদুর রহমান বাদল সেক্রেটারি কামরুজ্জামান নবাব ৫ ই আগষ্টের পর থেকে ছাত্র খুনের দায়ে পলাতক রয়েছে।
নাবালক রাজু হাফেজেকে মুক্তি দানের জন্য তার দু:খিনী মা আইন উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।