রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে 'ওপেন ডিবেট' (উন্মুক্ত বিতর্কের) আয়োজন করেছে শিক্ষার্থীরা। তবে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন না।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে এই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে, গত শনিবার রাতে শিক্ষার্থীরা পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন এবং আন্দোলন শেষে পোষ্য কোটাধারী শিক্ষক ও তাদের সন্তানদের এই কোটার পক্ষে যুক্তি প্রদানের জন্য উন্মুক্ত ডিবেটে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান। ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী মাইকিং করে ঘোষিত সময়ে বিতর্কের আয়োজন করা হলেও পোষ্য কোটার পক্ষে যুক্তি প্রদর্শনের জন্য কেউ উপস্থিত হননি।
শিক্ষার্থীদের মতে, পোষ্য কোটার কারণে যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তির ন্যায়সঙ্গত প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এই কোটা বাতিলের দাবি জানান।
বিতর্কে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদুল ইসলাম পিটার, রাজশাহীর স্থানীয় একজন রিকশাচালক এবং ক্যাম্পাসের একজন ব্যবসায়ী।
এ সময় অধ্যাপক মোর্শেদুল ইসলাম পিটার বলেন, 'আজকের পরিবেশ থেকে আবু সাঈদ মুগ্ধ রক্তের গন্ধ বের হচ্ছে। এই রক্তের উপর দাঁড়িয়ে কিছু মানুষ তাদের সন্তানদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করতে চায়। তবে যদি কোটার বিরুদ্ধে এই আন্দোলন সফল হয়, তাহলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনেও পরিবর্তন আনা সম্ভব।'
বিতর্কের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, 'যেকোনো ইস্যুতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতর্ক কিংবা উন্মুক্ত আলোচনা হতে পারে। "ওপেন ডিবেট" বিষয়টিকে আমি ইতিবাচকভাবেই দেখতে চাই।'
বিতর্ক শেষে শিক্ষার্থীরা তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনের পাশে পোষ্য কোটার প্রতীকী কবর স্থাপন করেন। এ সময় বিভিন্ন বিভাগের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ মাসুদ করিম, সহ-সম্পাদকঃ বিশ্বজিত কুমার দাস
বার্তা সম্পাদকঃ হোসেন মোহাম্মদ ফারুক
E-mail: dainiksambadpatradigital@gmail.com