আসাদুল্লাহ গালিব, রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের কলম ও ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছে রাবি প্রেসক্লাব।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বেলা ১২টায় সংগঠনটির নিজস্ব কার্যালয়ে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের বরণ করে নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে রাবি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন মাহিনের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি জুবায়ের জামিল। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের সাবেক ডিন ও প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ফজলুল হক, প্রেসক্লাবেরপ্রধান উপদেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আমজাদ হোসেন,
সংগঠনটির আরেক উপদেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার, সহ-সভাপতি সৈয়দ সাকিব ও আসাদুল্লাহ গালিব, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুর আলম নেহালসহ ক্লাবের সকল সদস্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, তিনটা জিনিসকে গুরুত্ব দিতে হবে জ্ঞান, দক্ষতা এবং ভ্যালুজ। অনুসন্ধানি সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে আমরা প্রশাসন সর্বোচ্চ সাহায্য করব। তোমরা সকল আইন-কানুনগুলো রপ্ত করবে কেননা তথ্যের পূর্ণাঙ্গতা অবশ্যই থাকতে হবে। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে সিরিয়াসনেস থাকতে জরুরি। তোমাদের কাজের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ণ থাকবে এটাই কামনা। বিশেষ করে যেকোনো তথ্য, নিউজ করার ক্ষেত্রে আমাদের অনুমতি লাগবে না। আমরাও চাই সত্য প্রকাশিত হোক এবং এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার আসুক।
কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. ফজলুল হক নবীনদের উদ্দেশ্য বলেন, ‘তোমরাই এ জাতির সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থী। আমি আমার জীবনকে কীভাবে পরিবর্তন করব এই প্রশ্নকে সামনে রেখেই এগিয়ে যেতে হবে। এখানে আমরাই জাতির পরিবর্তন করবো।’
প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আমজাদ হোসেন বলেন, চতুর্থ বিপ্লবকে সামনে রেখে আমরা নিজেদেরকে কতটুকু প্রস্তুত করতে পেরেছি? বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ অত্যন্ত ক্ষুদ্র একটি রাষ্ট্র। কিন্তু জনসংখ্যার দিক বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। সেক্ষেত্রে এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে জনশক্তিতে রুপান্তরিত করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি তোমাদের মতো শিক্ষার্থীরাই পারবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।
সর্বশেষ ক্লাব সভাপতি জুবায়ের জামিল নবীন শিক্ষার্থীদেরকে প্রেসক্লাবে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি কো-কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিজের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীকে গড়ে তুলতে পারে। রাবি প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ওয়াচ টাওয়ার’ হিসেবে কাজ করে। এই প্রতিষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন, সমালোচনা, সিনেট, সিন্ডিকেট, বিভিন্ন বিভাগসহ বিস্তর বিষয় বস্তুনিষ্ঠভাবে তুলে ধরে। যা একজন সাংবাদিকতার শিক্ষার্থী হিসেবে জানা খুবই প্রয়োজনীয়। প্রেসক্লাব নবীন শিক্ষার্থীদেরকে হাতে-কলমে এসব বিষয় শিক্ষা দিয়ে থাকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, নিজেদের বিকশিত করার জন্য সাংবাদিকতা একটা বড় সুযোগ। রাষ্ট্রের দর্পণ আর অন্যতম স্তম্ভ বলা হয় সাংবাদিকতাকে। ক্যাম্পাসে সাংবাদিকেরা একটা স্টেকহোল্ডার হিসেবে কাজ করে। পড়াশোনার পাশাপাশি একটা’ অভিজ্ঞতাও অর্জন হবে এখানে।
তিনি আরো বলেন, একটা ভালো রিপোর্ট একজনের জীবন পাল্টে দিতে পারে আবার একটা ভুল রিপোর্ট একজনের জীবন নষ্ট করে দিতে পারে। সাংবাদিকদের নৈতিকতার জায়গাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোনো দল বা গোষ্ঠীকে খুশি করার জন্য কাজ করা যাবে না।