মোঃ এনামুল হক, মোংলা প্রতিনিধি
প্রজনন মৌসুমে ইলিশ না ধরার মডেল সৃষ্টির পর এবার দেশব্যাপী দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেল উদ্ভাবন করেছেন সরকারের যুগ্ম সচিব ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (অর্থ) কাজী আবেদ হোসেন। তিনি এর আগে ২০০৩সালে বান্দরবানের পর্যটন স্পট নীলাচলেরও আবিষ্কারক দলে ছিলেন। তিনি পরপর ৪বছর প্রজনন মৌসুমে মাছ না ধরার মডেল বাস্তবায়ন করেন সরকারের অর্থ ব্যয় না করে। এ মডেল অনুসরণে ২০১১সাল থেকে প্রজনন মৌসুমে ইলিশ না ধরার কার্যক্রম বেগবান হয়। এ মডেল উদ্ভাবনে ২০০৯সালে সরকারের স্বর্ণপদকে ভূষিত হন তিনি।
রবিবার দুপুরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের মিলনায়তনে সাংবাদিকদের মাঝে তিনি তার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেল তুলে ধরেন। এ সময় তিনি বলেন, তার এ উদ্ভাবন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর তা বিশ্লেষণের মধ্যদিয়ে পাঠানো হয় মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে। সেখান থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। উক্ত পত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান । এটি দেশব্যাপী বাস্তবায়ন করা গেলে সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সফল হবেন বলেও মনে করেন তিনি। দ্রব্যমূল্যের উত্তরণ হলে আনাদের দেশ খুব অল্প সময়ে খুব বেশি মাত্রায় এগিয়ে যাবে, উন্নয়ন সম্ভব হবে। কারণ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেলটিতে সরকারের অর্থ ব্যয় হবেনা, অতিরিক্ত জনবলের প্রয়োজন নেই, নতুন আইন তৈরির দরকার নেই। এটি সাধারণ মানুষের সহজ বোধগম্য ও তাৎক্ষণিক বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
দেশব্যাপী দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেল উদ্ভাবন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ) মোঃ মাকরুজ্জামান, মোংলা প্রেস ক্লাব সভাপতি আহসান হাবিব হাসান, সাবেক সভাপতি মনিরুল হায়দার ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক হাসান গাজী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন আমুসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার অন্যান্য প্রতিনিধিরা।