আলিফ হোসেন,তানোরঃ রাজশাহীর তানোরের হিমাগারগুলোয় বিপুল পরিমাণ আলু মজুদ রেখে সিন্ডিকেট করা হচ্ছে। আলুর দাম বাড়ানোর লক্ষ্যে আলু বের করা হ্ছে না। আলুর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষ এসব হিমাগারে দ্রুত ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনার দাবি করেছেন। এদিকে ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হলেও উপজেলায় এখনো এর প্রভাব পড়েনি।
সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন হিমাগার ঘুরে ও আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখনো হিমাগার গুলিতে ৫৩-৫৪ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে এ বছর অতিবৃষ্টির কারণে আগাম জাতের আলু কৃষকরা উৎপাদন করতে পারেনি। অপরদিকে দাম বাড়ার কথা শুনে কৃষকদের যতটুকু আলু হিমাগারে আছে তা আর বিক্রি করছে না। যার ফলে বাজারে আলুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তানোর উপজেলা আলু উৎপাদন এবং সংরক্ষণে দেশের মধ্যে অন্যতম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি রবি মৌসুমে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। উপজেলায় ৬টি হিমাগারে ধারণ ক্ষমতা আনুমানিক ৬০ হাজার মেট্রিক টন।
তানোর উপজেলা হতে প্রতিমাসে বিপুল পরিমাণ খাবার আলু দেশের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ হয়ে থাকে। কিন্ত্ত আলুর দাম আরো বাড়ার আশায় মজুদদারগণ হিমাগার থেকে আলু তেমন বের করছে না।
অন্যদিকে নতুন জাতের আলু বাজারে আসতে এখনো প্রায় দেড় মাসের মত সময় লাগবে। কৃষকরা জানান, তাদের আলু তেমন হিমাগারগুলোতে নেই। আছে ব্যবসায়ীদের আলু। তারা আরো বেশি দাম পাওয়ার আশায় আলু বাজারে ছাড়ছে না। কৃষকরা আরো জানান, গতবছর এই সময়ে তাদের লাগানো আগাম জাতের আলুর বয়স হয়েছিল ১০ থেকে ১২ দিনের মত। আকাশের অবস্থা ভালো না থাকায় অতি বৃষ্টির কারণে জমির পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছেনা। এ কারনে কৃষকরা তাদের জমিতে আগাম জাতের আলু লাগাতে না পারায় এবার নতুন আলু পেতে সময় লাগবে। হিমাগারে যেসব মজুদদার ব্যবসায়ী ও কৃষক আলু রেখেছেন দাম বাড়ার আশায় তারা ধীর গতিতে বাজারে আলু ছাড়ায় দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেকারণে ভোক্তাগণ হিমাগারে ভোক্তা অধিকারের ব্রাম্যমান অভিযান পরিচালনার দাবি করেছেন।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ মাসুদ করিম, সহ-সম্পাদকঃ বিশ্বজিত কুমার দাস
বার্তা সম্পাদকঃ হোসেন মোহাম্মদ ফারুক
E-mail: dainiksambadpatradigital@gmail.com