তানোরে যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা আয়োজনে ঐতিহাসিক ১১ডিসেম্বর তানোর দিবস পালন
সাইদ সাজু, তানোর, যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ঐতিহাসিক ১১ডিসেম্বর মহান তানোর দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বুধবার সকালে তানোর খাদ্য গুদাম সংলগ্ন গোল্লা পাড়া বাজারস্থ ফুটবল মাঠের কোনে শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও গোল্লা পাড়া বাজার ফুটবল মাঠে শহীদদের স্নৃতিতে স্বরণ সভার আয়োজন করা হয়।
শহীর পরিবার ও শহীদদের সহযোদ্ধাদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত স্বরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন শহীদ কমরেড এরাদ আলীর ছোট ভাই এরশাদ আলী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ কমরেড ওয়ারেজ উদ্দিনের ছোট ভাই লুৎফার রহমান। এ্যাডভোকেট হাসিবুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্বরন সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্নৃতি চারণ করে বক্তব্য রাখেন শহীদদের সহযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা লেখক ও সাংবাদিক মাহমুদ জামাল কাদেরী।
শহীদদের সহযোদ্ধা পাঁচন্দর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জামাল উদ্দীন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতেখার মাসুদ, গণ অধিকার রাজশাহী মহানগর আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার ইকবাল বাদল, অবসর প্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা লেখক ও গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী, রাবির অধ্যাপক সারোয়ার জাহান সুজন, শহীদদের সহযোদ্দা আরিফুর রহমান বাচ্চু,রাবির ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম।
রাবির ছাত্র সম্মন্নয়ক মোহাম্মাদ আলী তোহা, গনসংহতি নেতা এ্যাডভোকেট মুরাদ মুর্শেদ, বাসদের নেতা আলফাজ উদ্দীন প্রমুখ। উক্ত স্বরন সভায় শহীদ পরিবারের সদস্য বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা কর্মী ও জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশে যখন কৃষক জনতা বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছিলের এবং দেশে খাদ্যের সমস্যা সৃষ্টি হলে শহীদরা কৃষক জনতার অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে লড়াই সংগ্রাম করছিলেন।
এসময় ১৯৭৩ সালের ১১ডিসেম্বর তৎকালীন সরকারের রক্ষী বাহিনী দ্বারা ৪৪জনকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করার পর ফুটবল মাঠের কোনে গর্ত খুড়ে জীবন্ত মাটি চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। সেই থেকে সাম্যবাদী দল ওয়ার্কার্স পার্টিসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ১১ডিসেম্বর তানোর দিবস পালন করে আসছেন।