1. admin@dainiksangbadpatradigital.com : admin : HM Faruk
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৪ অপরাহ্ন
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিঃ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচারঃ তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।  বিশেষ সতর্কীকরণ - "দৈনিক সংবাদপত্র ডিজিটাল " পত্রিকায় প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। ★★দৈনিক সংবাদপত্র ডিজিটাল অনলাইন পত্রিকায় তরুণ ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানী আগ্রহী সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে...★ শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম সম্মান /স্নাতক পাস। এক বছরের অভিজ্ঞতা বাধ্যতামূলক। অভিজ্ঞদের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল যোগ্য। বেতন / ভাতা আলোচনা সাপেক্ষ্য। ★★ সিভি ইমেইল করতে টার্চ করুন
শিরোনামঃ
ভাঙ্গায় অজ্ঞাত মামলা ডাকাতি মূল রহস্য উদঘাটন সহ ৭ ডাকাত আটক ৪টি পিকআপ উদ্ধার কালিয়াকৈরে চাঁদাবাজির দ্বন্দ্বে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত -১ জন নগরকান্দা বিট কমিউনিটি পুলিশিং আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত ! ক্রন্দসী ডান্স একাডেমীর ২তম বাৎসরিক অনুষ্ঠান ২০২৪, রোটারী সদনে অনুষ্ঠিত কালিয়াকৈরে আইডিয়াল বই মেলায় বাবার চশমা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ভাঙ্গায় দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ১০ জন আহত তানোরে জামায়াতের স্মরণকালের সর্ববৃহৎ কর্মী সভা ভাঙ্গায় জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে  গ্রামবাসীর মধ্যে  সংঘর্ষ আহত-১০ তানোরে কোল্ড স্টোরে আলু ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত গাইবান্ধার সাঘাটায় বিএনপি-জামাতের মধ্যে সংঘর্ষ আহত-১০

টপ প্রতিটি পাতা বিজ্ঞাপন

তানোরে মাদ্রাসা প্রদর্শককে হয়রানি করছেন অধ্যক্ষ !

দৈনিক সংবাদপত্র ডিজিটাল ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৪ ৯বার পঠিত

আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহী-১ আসনের সাবেক সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরীর ছত্রছায়ায়-অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া মুণ্ডুমালা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আমির উদ্দিন এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন।মাদ্রাসার এক কোটি ১৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এই অধ্যক্ষ অদৃশ্য ক্ষমতার জোরে টাকা ফেরত না দিয়ে বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করে চালাচ্ছেন মাদ্রাসা। আওয়ামী লীগের আমলে তার বাধ্যগত না হওয়ায় জামায়াত ও বিএনপি সমর্থিত কয়েকজন শিক্ষককে জঙ্গি আখ্যা দিয়ে জেলও খাটিয়েছেন অধ্যক্ষ আমির উদ্দিন। তৎকালীন এমপি ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে মিলেমিশে মাদ্রাসার নিয়োগ বাণিজ্য করে রাজশাহী শহরে আলিশান বাড়িও বানিয়েছেন অধ্যক্ষ আমির উদ্দিন।  শুধু তাই নয়, তার বিরুদ্ধে মাদ্রাসার পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রদর্শক মো. ইব্রাহিম আলী সরদারের টাইমস্কেলের ব্যবস্থা না করে ১১ বছর ধরে আর্থিক হয়রানির অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।মাদ্রাসার কমিটি ও অধ্যক্ষ ২০১০ থেকে বেতন ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর বন্ধ করে রাখেন প্রদর্শক ইব্রাহীমের। তবে একই বছরের নভেম্বরে বেতন ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর চালু হলেও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে টাইম স্কেলের ব্যবস্থা না করে আর্থিক হয়রানির শিকার করা হচ্ছে।

এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকলেও তিনি নানা অজুহাতে শুনানীতে  অংশ না নিয়ে কৌশল করেন। প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও ‘সম্পূর্ণ বেডরেস্ট’ উল্লেখে  ডাক্তারী সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে এ সম্পর্কিত চলমান মামলায় আদালতেও হাজির হন না অধ্যক্ষ। ফলে দিনের পর দিন মামলা চলমান থাকায় হয়রানির শিকার হতে হচ্ছেন ভুক্তভোগী প্রদর্শক।

বিভিন্ন দফতরে দায়ের করা অভিযোগে জানা যায়, অধ্যক্ষ আমির উদ্দিনের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গেও বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ রয়েছে। ইতিপূর্বে এককোটি ১৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়া, প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে ঘুষ প্রদানের জন্য  শিক্ষকদের থেকে অর্ধ-মাসের বেতন গ্রহণ করারও অভিযোগ রয়েছে এ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।২০০৪ সালের সেপ্টেস্বর হতে অদ্যবধি শিক্ষকদের নামে উত্তোলিত টিউশন ফি’র টাকা শিক্ষকদের মাঝে বন্টন না করে আত্মসাৎ করেছেন তিনি। মাহবুবুর রহমান নামের এক শিক্ষকের পিএইচডি করার সময় দ্বিতীয় বৎসর অর্ধ-বেতনের স্থলে পূর্ণ বেতন এবং তৃতীয় বৎসর বিনা বেতনের স্থলে পূর্ণ বেতন তুলে দেওয়া হয়েছে। মুহাদ্দিস তাজিমুল ইসলামের সাত বছর পর যোগদান করলেও আব্দুল হামিদ নামের এক শিক্ষককে প্রভাষক কাম মুহাদ্দিস পদে নিয়োগ দিয়ে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করার অভিযোগও রয়েছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ রয়েছে, মুহাদ্দিসের চাকুরির শর্তানুযায়ী কাঙ্খিত অভিজ্ঞতা না থাকায় নিম্ন স্কেল অর্থাৎ ৭ম গ্রেডে বেতন হওয়ার কথা থাকলেও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য তা প্রদান না করে ৯ম গ্রেডে বেতনের ব্যবস্থা করেছেন অধ্যক্ষ।

সম্প্রতি তার নানা অনিয়মের বিষয়ে এবং দীর্ঘদিন ধরে টাইম স্কেলের ব্যবস্থা না করার প্রতিকার চেয়ে প্রদর্শক ইব্রাহিম আলী সরদার মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক দফতরে আবেদন করেছেন। তবে এখনো কোনো প্রতিকার পান নি। বিগত আওয়ামী লীগ আমলে স্থানীয় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর প্রভাবে অধ্যক্ষ আমির উদ্দিন দাপটের সঙ্গে শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচারণ করেছেন। অবৈধ নিয়োগ দিয়ে কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।

সম্প্রতি মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককেও (রাজস্ব) আইনী নোটিশের মাধ্যমে এসব বিষয় অবহিত করা হয়েছে। তবে বেশ কিছুদিন হলেও মাদ্রাসার বর্তমান সভাপতি ও রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিষয়টি কোনো আমলে নেননি।

ভুক্তভোগী ইব্রাহিম আলী সরদার অভিযোগ করেন, মাদ্রাসার কমিটি ও অধ্যক্ষ নিয়ম বর্হিভূত, বেআইনী ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে  ২০১০ সাল থেকে বেতন ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর বন্ধ করে দেয় তার। অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে একই বছরের নভেম্বরে বেতন ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর চালু হলেও তাকে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করতে টাইম স্কেল প্রদানের কোন আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নি।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মাদ্রাসার দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) যোবায়ের হোসেন বলেন, এখনো ওই মাদ্রাসার কোনো কাগজপত্র দেখা হয়নি। এ মাদ্রাসা সম্পর্কে সবকিছু এখনো অজানা। কিছুদিন হলো তিনি দায়িত্ব পেয়েছেন। সময় সুযোগ বুঝে মাদ্রাসার কাগজপত্র দেখে তারপর অভিযোগ সম্পর্কে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে যোগযোগ করা হলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আমির উদ্দিন তার বিরুদ্ধে সকল অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই অভিযোগকারী প্রদর্শকের বিষয়টি নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে। মামলার মাধ্যমেই বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে।

Facebook Comments Box

আইন বিষয়ে সহায়তাঃ ০১৭০৩-৮৭১৭৫৭

এই ক্যাটাগরির আরও খবর

অগ্রীম ভর্তি চলছে…..

ফেসবুকে আমাদের পড়ুন ও শেয়ার করুন

error: Content is protected !!