আলিফ হোসেন, তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরে ব্র্যাকের আলু বীজ ডিলারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।এদিকে গত এক সপ্তাহ যাবত ডিলার শাহীন দোকান বন্ধ করে গা-ঢাকা দিয়েছে।এমনকি তার কর্মস্থল গোকুল দাখিল মাদরাসায় অনুপস্থিত রয়েছেন। এদিকে মাদরাসার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) অবগত না করেই মাদরাসা সুপার একক ক্ষমতা বলে শাহীনকে ৪ দিনের ছুটি দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, ব্র্যাকের বীজ ডিলার কৃত্রিম সংকট সৃস্টি ও কালোবাজারে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অথচ প্রায় এক মাস আগে ডিলারের কাছে টাকা দিয়ে রশিদ সংগ্রহ করেও বীজ না পেয়ে কৃষকরা দিশেহারা। সাধারণ কৃষকেরা ব্র্যাকের আলু বীজ না পেলেও খোলাবাজারে ও বড় আলুচাষিরা পাচ্ছেন। এতে প্রশ্ন উঠেছে ডিলারগণ বীজ না পেলেও খোলাবাজারে ও বড় চাষিরা আলু বীজ পাচ্ছেন কিভাবে? ডিলারদের কারসাজি ও সিন্ডিকেটের কারণে ব্র্যাকের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।স্থানীয়রা শাহীনের ডিলারসীপ বাতিল করে নতুন ডিলার নিয়োগের দাবি করেছেন। কৃষকদের অভিযোগ, তালন্দ বাজারের ব্র্যাকের বীজ ডিলার শাহীন আলম মাস্টার অধিক মুনাফার আশায় বীজ দোকানে না নিয়ে ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন এলাকার বড় আলু চাষীদের প্রজেক্টে সরাসরি বিক্রি করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,গত ১৬ নভেম্বর শনিবার দুপুরে চকপাড়া খাইরুল মাস্টারের বাড়িতে দুই ট্রাক ১৭ নভেম্বর রোববার সকালে এক ট্রাক ব্যাকের বীজ আলু নামানো হয়। এক সঙ্গে এতো
বীজ কোথায় থেকে আসছে জানতে চাইলে শ্রমিকরা জানান, ব্র্যাকের বীজ ডিলার শাহীন মাস্টারের কাছে তারা এসব বীজ কিনেছেন। তবে ক্রয় রশিদ দেখতে চাইলে তারা দেখাতে পারেনি।
অথচ শাহীন মাস্টারের দোকানে গিয়ে কৃষকরা আলু বীজ পাচ্ছে না-? ফলে প্রশ্ন উঠেছে শাহীন মাস্টারের নামে বরাদ্দকৃত ব্র্যাকের বিপুল পরিমাণ আলু বীজ গেলো কোথায়-? তার বিক্রয় রশিদ পর্যালোচনা করা হলে থলের বেড়াল বেরিয়ে আসবে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক বলেন, অতিরিক্ত মুনাফার আশায় ব্র্যাকের আলু বীজ রিপ্যাক করে বিক্রি করেন শাহীন মাস্টার।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, উপজেলায় চলতি মৌসুমে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ হাজার ১১৫ হেক্টর।
এসব জমি রোপণের জন্য বীজের প্রয়োজন ২৯ হাজার ৫১০ মেট্রিক টন এবং ফলন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ব্র্যাকের আলু বীজ ডিলার শাহীন আলম মাস্টার সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম তাই বীজের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, বেশী দাম নেয়া বা বাইরে বিক্রি করার অভিযোগ সঠিক নয়।তিনি বলেন, যাদের বীজ দিতে পারিনি তাদের টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। আবার বীজ না পেয়ে অনেকে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।