আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরের কলমা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে অন্য স্কুল থেকে। এখানে পড়ালেখা করলেও অনুমোদন না থাকায় শিক্ষার্থীদের চন্দনকৌঠা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পাবলিক পরীক্ষা দিচ্ছেন।এতে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কলমা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পোস্টারে লেখা রয়েছে নার্সারি থেকে পঞ্চম, জেডেসি, নবম শ্রেণি পর্যন্ত। অথচ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড ও জেলা শিক্ষা অফিস কর্তৃপক্ষ বলছে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের কোনো অনুমোদন নেই। এদিকে গত ১৫ ডিসেম্বর রোববার কলমা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নানা অনিয়ম-অসঙ্গতির চিত্র তুলে ধরে ডাকযোগে রাজশাহী আঞ্চলিক ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
স্থানীয়রা জানান,আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে কলেজ পরিচালক সাদিকুল ইসলাম ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে।কিন্ত্ত গত ৫ আগস্টের পরে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, স্ক্যান্ডাল, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের হয়রানির অভিযোগে বিক্ষুব্ধরা কলমা আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এছাড়াও এলাকার কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত,সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ৩৪টি শর্ত পূরণ না হলে বেসরকারি কেজি স্কুল ও মাদ্রাসাগুলো নিবন্ধন বাতিল গণ্য ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্ত্ত কলমা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৩৪টি শর্তের মধ্যে অর্ধেক শর্ত পুরুণ করতে পারেনি। অথচ অনুমোদনবিহীন কলমা আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজে সরকারি বই সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয়রা জানান, এই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলে সমাপনী, জেএসসি, জেডেসি, এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়ার শতভাগ গ্যারান্টিসহ নানা লোভনীয় অফার রাখা হয়েছে শিক্ষার্থীদের সামনে। কর্তৃপক্ষের যথাযথ মনিটরিংয়ের অভাবে এসব প্রতিষ্ঠান দিন দিন বেড়েই চলছে। এদিকে-অবৈধ প্রতিষ্ঠান টাকার বিনিময়ে নিবন্ধনের চেষ্টা চলছে বলেও আলোচনা রয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদনবিহীন কোনো স্কুল অথবা কলেজ-মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না। প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়ে দেখা হবে।
এদিকে পাঠদানের অনুমতি না থাকা এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করানো হয় অষ্টম ও জেডেসি শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরও। এক্ষেত্রে সমাপনী পরীক্ষা দিতে তাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে দ্বারস্থ হতে হয় অনুমতি থাকা এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছে। অনুমতি আছে এমন স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হিসাবে চালিয়ে দেওয়া হয় অনুমতি না থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের। এবিষয়ে জানতে চাইলে কলমা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক সাদিকুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সকল নিয়মনীতি অনুসরণ করে তিনি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন।তিনি বলেন, উপজেলায় তার মতো আরো অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।