আলিফ হোসেন,
রাজশাহীর তনোরে অবৈধভাবে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রির অপরাধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাইরুল ইসলাম ভ্রাম্যমান অভিযান চালিয়ে এ্স্কেভেটর(ভেকুঁ) মেশিনের ব্যাটারী জব্দ করেছেন। তবে মেশিন রেখে চালক ও জমির মালিক পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করতে পারেনি।
গত ২৩ ডিসেম্বর সোমবার রাত ১১ টায় উপজেলার বাঁধাইড় ইউনিয়নের (ইউপি) বৈদ্যপুর মাঠে অভিযান চালিয়ে এসব ব্যাটারী আটক করা হয়েছে। তানোর সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দুরের নিভৃত পল্লী এলাকায় গভীর রাতে এমন অভিযান চালিয়ে ফসলি জমি ও রাস্তা রক্ষা করায় ইউএনও’র এই সাহসী পদক্ষেপ সর্ব মহলে প্রশংসিত হচ্ছে।
এ ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে পরম স্বত্তি বিরাজ করছে। সচেতন মহলও ইউএনও’র এমন ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। অবৈধ মাটি বাণিজ্যে বন্ধ ও এসব রাস্তা রক্ষায় এলাকার মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন ইউএনও খাইরুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বাঁধাইড় ইউনিয়নের (ইউপি) বৈদ্যপুর গ্রামের প্রভাবশালী জাহাঙ্গীর আলম কবরস্থান ভরাটের নামে ফসলী জমির মাটি কেটে বিক্রি করছেন।এদিকে এসব মাটি পরিবহন করতে গিয়ে এলাকার রাস্তা নস্ট ও পরিবেশ দুষণে গ্রামবাসি অতিষ্ঠ হয়ে উঠে।কিন্ত্ত ভয়ে প্রকাশ্যে কেউ তার প্রতিবাদ করতে পারে না। তবে ভেকুঁ দালাল হাসান আলী বলেন, জমির মালিক তাকে বলেছে মুন্ডুমালা পুলিশ ফাঁড়ি ম্যানেজ করা হয়েছে,মাটি কাটতে সমস্যা নাই।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার গভীর রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও খাইরুল ইসলাম ভ্রাম্যমান অভিযান চালিয়ে রাস্তা নষ্ট করে অবৈধ মাটি বাণিজ্যে বন্ধ ও ভেঁকুঁ মেশিনের ব্যাটারী জব্দ করেছেন। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও খাইরুল ইসলাম বলেন, নীতিমালা অনুসরণ করে পুরাতন পুকুর পুনঃখননে কোনো বাধা নাই, তবে রাস্তা নষ্ট করে বা পরিবেশ ক্ষতি করে মাটি বাণিজ্যের কোনো সুযোগ নাই। তিনি বলেন,জমির শ্রেণী পরিবর্তনেরও কোনো সুযোগ নাই। তিনি বলেন, তার একার পক্ষে এসব বেআইনি কাজ প্রতিরোধ করা দুরুহ, তিনি জনসাধারণকে সচেতন হবার পাশাপাশি এসব বেআইনি কাজ প্রতিরোধে সকলকে সহযোগীতার আহবান জানান।