আলিফ হোসেন,তানোরঃ রাজশাহীর তানোরের বিল্লী বাজার বণিক সমিতির কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কথিত কমিটি নিয়ে বাজারের ব্যবসায়ীদের মাঝে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।এঘটনায় বিল্লী বাজারের ব্যবসায়ীগণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৩০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিল্লী বাজার অনিক সমিতির সদস্যগণ দিল্লী বাজার বনিক সমিতির এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সভায় বনিক সমিতির নতুন কমিটি গঠন প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়। সভায় একাধিক ব্যবসায়ী সভাপতি পদে প্রার্থীর ঘোষণা দেন। একপর্যায়ে সভাপতি পদের প্রার্থী আব্দুল মালেক এবং আফসারুজ্জামান বাবু প্রস্তাব করেন যে. প্রথমে বণিক সমিতির চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রনয়ণ করা হোক তারপর নির্বাচনের মাধ্যমে বণিক সমিতি গঠন করা হোক। তাদের এই প্রস্তাব নিয়ে বাকবিতন্ডতা শুরু হয় এক পর্যায়ে আব্দুল মালেক এবং আকসারুজ্জামান বাবু তারা তাদের প্রার্থীতার প্রস্তাব তুলে নেই এবং পরবর্তীতে চুড়ান্ত ভোটার তালিকা তৈরি করে ভোটের দিন ধার্য ও ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়ে। তারা তাদের অনুসারীদের নিয়ে সভা স্থান থেকে চলে যান। কিন্ত্ত আবুল কাশেমের পুত্র সেকেন্দার আলী তার অনুগত ও বহিরাগত লোকজন নিয়ে ভুয়া ভোট দেখিয়ে নিজেকে সভাপতি এবং দেলোয়ার হোসেনকে সম্পাদক ঘোষণা করেন। এখবর ছড়িয়ে পড়লে বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে।
লিখিত অভিযোগে আরো বলা হয়, আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারী দোকান মালিকগণ এই লোক দোখানো নিয়মবহির্ভুতভাবে গঠিত কমিটি এবং সভাপতি ও সম্পাদককে প্রত্যাখ্যান করি। এমতাবস্তায় বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিল্লী বাজার বনিক সমিতির কমিটি বাতিলপূর্বক তফসীল ঘোষণার মাধ্যমে সকল সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনার সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিনহাজুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে,তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এবিষয়ে জানতে চাইলে সেকেন্দার আলী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সভাপতি নিয়ে কোনো অভিযোগ নাই, সম্পাদক নিয়ে যে অভিযোগ ছিল, সেটা আমরা মিমাংসা করে নিয়েছি, আগামিকাল মিমাংসাপত্র জমা দেয়া হবে।