জামিয়া আরবিয়া গোরকঘাটার নূরানী বিভাগের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ও অভিভাবক সম্মেলন সম্পন্ন
মিজবাহ উদ্দীন আরজু, (মহেশখালী) :
মহেশখালী উপজেলার সর্বোচ্চ ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া আরবিয়া ইসলামিয়া গোরকঘাটা (মাদ্রাসার) নূরানী বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা নূরানী বোর্ডের কেন্দ্রীয় সনদ পরীক্ষা-২০২৪ সনের তৃতীয় শ্রেণীতে সর্বোচ্চ মেধা তালিকায় ও এ+প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও অভিভাবক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৭ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে এই অনুষ্ঠান। কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অত্র এলাকার প্রবীন মুরুব্বী আলহাজ্ব হাফেজ ফজলুল হক সিকদারের সভাপতিত্বে জামিয়ার শিক্ষক মাওলানা মিজবাহ উদ্দীন আরজুুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু বক্কর ছিদ্দিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জামিয়ার পরিচালক মাওঃ আবদুল মোনায়েম ও নির্বাহী পরিচালক মাওঃ শামসুল আলম (জাদীদ), জামেয়ার শাইখুল হাদিস হাফেজ মাওলানা আব্দুল গফুর, মুফতি সাইফুল্লাহ। এছাড়াও অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- মাওলানা মোঃ কাশেম, মাওঃ নেজাম উদ্দিন, ক্বারী আবদুল গফুর, মাওলানা মুফতি মোস্তাক আহমদ, মাওলানা হাফেজ ইসমাইল, মাওলানা জাহেদুল্লাহ, মাওলানা রহমতুল্লাহ, মাওলানা মোকাররম, সাংবাদিক গাজী মোঃ আবু তাহের, আ ন ম হাসান, হামিদ হোসাইন ও শেখ আবদুল্লাহ সহ সম্মানিত সচেতন অভিভাবকবৃন্দ।
এসময় মেহমানদের হাত থেকে পুরস্কার ও সনদ গ্রহণ করেন- সর্বোচ্চ মেধা তালিকায় ৮ জনসহ এ প্লাস প্রাপ্ত ৩৫ জন ও এ গ্রেড প্রাপ্ত ১৬ জন ছাত্র-ছাত্রী। মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৫৯ জন, পাশের হার ১০০%।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন- বিশ্বজুড়ে বিশাল অপার সম্ভাবনার নাম মানব শিশু। এই সম্ভাবনাকে অবশ্যম্ভাবী করার জন্য একান্ত প্রয়োজন শিশুর বিকাশ, শিশুর শিক্ষা। শিশুদের সৎ আদর্শবান,পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে ইসলামি শিক্ষার বিকল্প নেই। তাই নূরানী বিভাগের পড়াশোনা হচ্ছে শিশুদের জন্য মুল বেসমেন্ট। তিনি উপস্থিত অবিভাবক পিতা মাতার উদ্দেশ্যে আরো বলেন, আপনার শিশুকে সুশিক্ষিত, মানবিক, আদর্শবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে দ্বীনি শিক্ষা গ্রহনে উৎসাহী করুন।
বড় মহেশখালী এমদাদিয়া কাছেমুল উলুম মাদ্রাসার মোহতামিম হাফেজ মাওলানা ইসমাঈলের মুনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন হাফেজ ফজলুল হক সিকদার।