রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ)
আজ ২১শে ডিসেম্বর শনিবার, ঠিক বিকেল ছটায়, কলকাতা রোটারী সদনের প্রেক্ষাগৃহে, ক্রন্দসী ডান্স একাডেমীর উদ্যোগে এবং নৃত্য কোরিওগ্রাফার ,পরিচালক ও নৃত্যশিল্পী রুমি চ্যাটার্জির পরিচালনায়, ডান্স অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে, বাৎসরিক অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করলেন।
অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয় প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে , এবং নৃত্য গুরুকে সম্মান জানিয়ে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত কথক শিল্পী ড: কেয়া চন্দ, বিশেষ অতিথিদের উপস্থিতিতে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের পর , উপস্থিত অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে ও স্মারক দিয়ে সম্মানিত করেন। এবং ছাত্র-ছাত্রীদের স্মারক ও সার্টিফিকেট দিয়ে সম্মানিত করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, প্রখ্যাত কথক শিল্পী ডঃ কেয়া চন্দ, ভারত বিখ্যাত চিত্রশিল্পী সুব্রত ঘোষ, উপস্থিত ছিলেন অনিমা রায় সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা। সঞ্চালনায় ছিলেন সুবীর হালদার ও পৌলমী ।
আজকের এই অনুষ্ঠান সকল দর্শক ও অভিভাবকদের মুগ্ধ করেছে, চার মাসের কঠোর পরিশ্রমে, নৃত্য শিল্পীর প্রচেষ্টায়, ছোট ছোট ছাত্র ছাত্রীরা যেভাবে অনুষ্ঠানকে আলোকিত করলেন, আমরা মুগ্ধ, এবং মঞ্চে যেভাবে সুন্দর সুন্দর নৃত্য পরিবেশন করলেন ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা আমরা অভিভূত।
নৃত্য কোরিওগ্রাফার , পরিচালক এবং নৃত্য শিক্ষিকা, জানান এটা আমার দ্বিতীয়তম বাৎসরিক অনুষ্ঠান, এই অনুষ্ঠানটা করতে গিয়ে আমাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে। প্রায় চার মাস যাবত এই ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের প্র্যাকটিস করাতে হয়েছে। আজ আমি আনন্দিত যেভাবে আমার ছাত্র-ছাত্রীরা পারফরমেন্স দেখালেন, আমি কৃতজ্ঞ সেই সকল অভিভাবকদের, যারা ছেলেমেয়েদের পাশে ছিলেন, এবং আজও যারা মঞ্চ আলোকিত করেছেন, আমি কৃতজ্ঞ সকল অতিথিদের কাছে, যাহারা আজকে মঞ্চে আর ছোট ছোট ছাত্র ছাত্রীদের পুরস্কার তুলে দিলেন। আমি কৃতজ্ঞ আমার নিত্য গুরুদের কাছে, তাদের কাছে আমি নৃত্য শিখে এই জায়গায় আসতে পেরেছি,
আর একটা কথাই অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলবো, যে সকল ছেলে-মেয়ের পড়া শুনা ছাড়াও ,অন্য কিছু শেখার আগ্রহ আছে, তাদেরকে উৎসাহ দিন, পড়াশুনার মাঝে সকলের একটা উৎসাহ থাকে, যার যেটা শেখার ইচ্ছা আপনারা পাশে থাকুন,
সংক্ষিপ্ত কথার মধ্য দিয়ে অতিথিরা বলেন, আজ আমরা গর্বিত, এরকম একটা অনুষ্ঠানে আসতে পেরে, এবং রুমি চ্যাটার্জী যেভাবে ছোট থেকে নিজেকে ট্র্যাকেল করে এই একাডেমীকে একটু একটু করে বড় করে তুলেছেন, সকলের মন জয় করতে পেরেছেন, এর থেকে বড় পাওনা আর কিছু হতে পারে না , এমনকি এই ছোট ছোট বাচ্চাদের যেভাবে নৃত্য শিক্ষা দিয়েছেন, সত্যি ই অভূতপূর্ব, যাহার শিক্ষার মধ্যে কোন ফাঁক ফোকর ছিল না, এমনকি যিনি নৃত্য শেখানোর সময় ছাত্র-ছাত্রীদের ফাঁকিবাজি পছন্দ করেন না, এমন কি অভিভাবকরা যদি একটু আগে ছাড়ার কথা বলেন, উনি সেটাও পছন্দ করেন না, আর যার ফলে আজ ৫ বছর থেকে শুরু করে ১৬-২০ বছর বয়সে ছেলেমেয়েরা যেভাবে নৃত্য পরিবেশন করল সত্যিই সকল দর্শকদের মন কারবেই, আরো রুমি এগিয়ে যাক, বিভিন্ন দেশে নৃত্য পরিবেশন করে সকলের মন জয় করুক ,এটুকুই আমাদের কামনা ও ভালোবাসা রইলো।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ মাসুদ করিম, সহ-সম্পাদকঃ বিশ্বজিত কুমার দাস
বার্তা সম্পাদকঃ হোসেন মোহাম্মদ ফারুক
E-mail: dainiksambadpatradigital@gmail.com