মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন বিশেষ প্রতিনিধি :
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীসহ নামীয় ৭০ জনসহ অজ্ঞাত ৪০০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলার সময় হত্যার উদ্দেশে গুলি চালানো ও দাঙ্গা সৃষ্টির অভিযোগে এ মামলা।
গতকাল শুক্রবার রাতে রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন মো. আরিফ (২৩) নামের এক যুবক। আরিফ গোদাগাড়ী পৌর এলাকার মাদারপুর মহল্লার রেজাউল করিমের ছেলে। বাদী জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। অন্যদিকে আসামিদের সবাই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী।
মামলার অন্য আসামিদের অন্যতম হলো, গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র অয়েজুদ্দিন বিশ্বাস, তার ছেলে রায়হান বিশ্বাস, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, তার ছেলে জিশান আলম (১৭) উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল আলম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল আওয়াল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল হামিদ রানা, পৌর যুবলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ, দৈনিক ইত্তেফাকের গোদাগাড়ী সংবাদদাতা, মুক্তার হোসেন, সাংবাদিক আব্দুস সাত্তার, গোদাগাড়ী থানার সাবেক ওসি আব্দুল মতিন, রাজশাহী জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল।
অভিযোগে মামলার বাদী দাবি করেছেন তিনি অন্যদের সঙ্গে গত ৫ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মিছিলে যোগ দেন। আসামিরা তাকে হত্যার উদ্দেশে গুলি ছুঁড়ে, বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। এ সময়ে তিনি পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হন। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে এসে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, একই ঘটনায় ইতোপূর্বে আরও তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ নিজেরা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। বাকি দুটি মামলা করেছেন অন্য দুই ব্যক্তি। মামলা রেকর্ডের পর পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করেছেন।